Sreelekha Mitra: মাঝরাতে বাড়ি ফিরে নিজের বেডরুমে ঢুকতে পারছিলেন না শ্রীলেখা, রাস্তা আটকে ওরা, তারপর যা হল…
Animal Lover: একটি মাচা শো করে রাত প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ বেহালার অ্যাপার্টমেন্টে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

শীতকাল চলে এসেছে। গায়ে টান ধরতে শুরু করেছে। এই সময়টা বিনোদন জগতের জন্য দারুণ সুখকর। খোলা মাঠে অনেক অনুষ্ঠান হয়। সে যাত্রাই হোক কিংবা মাচা। বাংলা সিনেমা জগতের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই এই মাচা শোয়ে অংশগ্রহণ করেন। এবং তাঁরা সেখানে সমাদৃত হন। সে রকমই একটি মাচা শো করে রাত প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ বেহালার অ্যাপার্টমেন্টে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তারপর যা হল…
বেহালার একটি সুবিশাল অ্যাপার্টমেন্টে বর্তমান ঠিকানা শ্রীলেখার। মাঝরাতে বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর জন্য অপেক্ষারত চারটি বাচ্চা। আদর, করণ, নেকু এবং চিন্তামণি। এরাই শ্রীলেখার সঙ্গে থাকেন। প্রত্যেকেই তাঁর সারমেয় সন্তান। প্রথম তিনজনকে রাস্তা থেকে তুলে এনে দত্তক নিয়েছেন অভিনেত্রী। চিন্তামণি বিগল প্রজাতির সারমেয়। যেখানেই অভিনেত্রী যান না কেন, এই চার দস্যি তাঁর জন্য অপেক্ষা করেন সদর ঘরে। এলেই আদরে মাখামাখি…
ডাইনিং হল থেকে বেডরুমে যাওয়ার সরু প্যাসেজের সামনে একটি দরজা আছে। অতরাতে তা বন্ধই ছিল। শ্রীলেখার রাস্তা আটকে তাঁকে কিছুতেই বেডরুম পর্যন্ত যেতে দিতে চাইছিল না তার পোষ্য। জুলজুল চোখে তাকিয়ে ছিল অভিনেত্রীর দিকে। কে শ্রীলেখার সঙ্গে ঘুমবে তাই নিয়ে ছিল রেষারেষি। আশ্চর্যের বিষয় কেউ ঘুমায়নি এতরাতেও। প্রত্যেকজন জেগে মায়ের জন্য।
তৎক্ষণাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝরাতেই তাঁর অবস্থার ভিডিয়ো পোস্ট করেন শ্রীলেখা। সম্প্রতি তাঁর আবাসনের নীচে পথ-সারমেয়দের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই বিষয়টিও পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
গত সপ্তাহে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে চন্দননগর গিয়েছিলেন শ্রীলেখা। চন্দননগরের মানুষের ভালবাসা পেয়ে তিনি আপ্লুত হয়েছেন খুব। বলেছেন, “বাবা সৎ থাকতে বলেছিলেন আজীবন। সেই পথেই হেঁটেছি আমি। সৎ থাকার পুরস্কার পেলাম চন্দননগরে এসে। বয়স্ক মা-মাসিরা আমাকে অনেক আদর করেছেন। কাছে এসে জড়িয়ে ধরেছেন। মনে হয়েছে এটা পুরস্কারের চেয়ে অনেক বড় পাওয়া।” সঙ্গে এও বলেছেন, “বাবা থাকলে অনেক খুশি হতেন তিনি।”
