বাবা-মাকে হারিয়েছেন। নিজের একান্ত আপন বলতে মেয়ে অন্বেষাই রয়েছে। তাঁকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের দুনিয়া। দু’মাস মেয়ের থেকে দূরে ছিলেন। মেয়েকে চোখে হারিয়েছেন প্রতি মুহূর্তে। তাই তাঁকে ফিরে পেয়েই আদুরে ছবি আপলোড করেছেন স্বস্তিকা। ক্যাপশনে ঢেলে দিয়েছেন আবেগ। স্পর্শকাতর সেই আবেগ ভোলার নয়। মেয়েকে ‘বাঁদর’ বলেছেন আদর করে। যেমনটা প্রত্যেক মা হলে থাকেন তাঁদের সন্তানকে। পরমুহূর্তে মেয়েকে নিজের গর্ভে ফেরত পেতে চেয়েছেন স্বস্তিকা। তিনি লিখেছেন,
স্বস্তিকার পোস্ট:
“আমার ‘মাঙ্কি’র সঙ্গে ২ মাস পর দেখা হচ্ছে। মাঙ্কি মনে হয় আরও লম্বা হয়েছে। মাঙ্কির আমার পেটুর ভিতর ঢুকে পড়া উচিত। সময় কীভাবে কেটে যায়। সন্তানরা কত তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায়।”
সন্তানকে অনেকদিন পর দেখলে এরকমটাই মনে হয় মায়েদের। মনে হয় সন্তান রোগা হয়ে গিয়েছেন। কিংবা সে লম্বা হয়েছে। সন্তানকে ছোটবেলার মতো করেই আদলে রাখতে চান মায়েরা। সে বড় হোক, তা একেবারেই যেন চান না তাঁরা। অন্বেষাকে দেখেও তেমনটাই মনে হয়েছে দুর্দান্ত অভিনেত্রীর।
কাজের জন্য হিল্লিদিল্লি করতে হয় স্বস্তিকাকে। তিনি কলকাতায় থাকেন। আমার বছরের অনেকটা সময় মুম্বইতেও থাকেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বলিউড প্রজেক্টে কাজ করে ফেলেছেন স্বস্তিতা। ‘দিল বেচারা’ থেকে শুরু করে ‘পাতাল লোক’… প্রশংসিত হয়েছেন স্বস্তিকা। সামনে আরও বড় কিছু কাজ আছে তাঁর। স্বস্তিকা যে কত বড় অভিনেত্রী, এক বাক্যে সকলেই স্বীকার করেন। সেই সঙ্গে তিনি অত্যন্ত যত্নবান একজন মা-ও। মেয়েকে চোখে হারান স্বস্তিকা।
ভাল অভিনেত্রী, ভাল মা হওয়ার পাশাপাশি স্বস্তিকা সন্তান হিসেবেও সুন্দর মানুষ। মা-বাবাকে চিরকাল আদরে-যত্নে রেখেছিলেন। তাঁরা এই পৃথিবীতে আর নেই ঠিকই। কিন্তু স্বস্তিকার কাছে তাঁর চিরদিনই রয়েছেন। মা-বাবার আদর মেখেই কেটে যায় তাঁর দিন। এই তো সেদিন, কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে বাবার হলুদ সোয়েটার পরেছিলেন। যে বাবাকেই আলিঙ্গন করেছিলেন স্বস্তিকা। সেই আদরে তিনি সামলে রাখে কন্যাকেও।
আরও পড়ুন: Alia Bhatt: হরিহর আত্মারাই আলিয়াকে দিচ্ছে ব্যাচেলরেট পার্টি, রণবীরের পার্টির সঙ্গে টক্কর!