Monu Mukherjee Birthday: আমার গাড়ি না ছাড়া পর্যন্ত বাড়ির দরজায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতেন মনু জেঠু: বাসবদত্তা

Monu Mukherjee: আজ ১ মার্চ তাঁর জন্মদিন। সাদামাঠা এক গাল হাসির মানুষটিকে ফিরে দেখলাম আমরা, অভিনেতার অনস্ক্রিন নাতনি বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে... উঠে এল এমন সব অজানা কথা যা হয়তো আগে আপনি শোনেনই কোনওদিন...

Monu Mukherjee Birthday: আমার গাড়ি না ছাড়া পর্যন্ত বাড়ির দরজায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতেন মনু জেঠু: বাসবদত্তা
সাদামাঠা এক গাল হাসির মানুষটিকে ফিরে দেখলাম আমরা, অভিনেতার অনস্ক্রিন নাতনি বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে... উঠে এল এমন সব অজানা কথা যা হয়তো আগে আপনি শোনেনই কোনওদিন...
Follow Us:
| Updated on: Mar 01, 2022 | 10:07 PM

মনু মুখোপাধ্যায়। আসল নাম সৌরেন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়। অভিনয় জগতে প্রবেশ থিয়েটারের প্রম্পটার হিসেবে। সেখান থেকে কালজয়ী পরিচালকদের পরিচালনায় কাজ… কখনও ‘মছলিবাবা’ আবার কখনও বা ‘অপয়া’। গ্ল্যামার তাঁকে ছুঁতে চায়নি বা তিনিই হয়তো কোনওদিন ধরা দেননি গ্ল্যামারের নাগপাশে। ২০২০ কেড়ে নিয়েছিল তাঁকে। আজ ১ মার্চ তাঁর জন্মদিন। সাদামাঠা এক গাল হাসির মানুষটিকে ফিরে দেখলাম আমরা, অভিনেতার অনস্ক্রিন নাতনি বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে… উঠে এল এমন সব অজানা কথা যা হয়তো আগে আপনি শোনেনই কোনওদিন…

বাসবদত্তার বয়ানে…

বয়েই গেল শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে। এক বছর চলে ধারাবাহিকটি। মনু জেঠুর সঙ্গে আমার আলাপ ওই ধারাবাহিকের সেটে, যখন তাঁর ৮০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সেটের মধ্যে চুপ করে থাকার মতো মানুষ তিনি ছিলেন না কোনওদিনই। সারাক্ষণ মজা করতেন। ওর চেয়ে ছোটদের সঙ্গেও চলত হই হুল্লোড়। স্মৃতি ছড়িয়ে আছে অনেক। একটা ছোট্ট ঘটনা মনে পড়ছে, ধারাবাহিকে আমার এক ভাঙ খাওয়ার দৃশ্য ছিল। আমি জীবনে কোনওদিনও ওসব খাইনি। মনু জেঠুকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই এক্সপ্রেশন কেমন হবে হুবহু বলে দিয়েছিলেন আমাকে। ধারাবাহিকে আমি ছিলাম ওঁর নাতনি। আমার নাম ছিল কৃষ্ণা।

এক বছর পর ধারাবাহিকটি ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে মনু জেঠুর সঙ্গে তৈরি হওয়া যোগাযোগটা রয়েই গেল। ফোন করতাম ল্যান্ডলাইনে। কখনও তিনি নিজেই ধরতেন আবার কখনও বা বাড়ির লোক। ভীষণ খুশি হতো জানেন। মনু জেঠু বললেও ছিলেন আমার দাদুর বয়সী। আর ধারাবাহিকেও তো আমি ছিলাম ওঁর নাতনি। তাই বাড়ির লোক ফোন ধরলেই বাসবদত্তা না বলে পরিচয় দিতাম কৃষ্ণা অথবা নাতনি বলে।

ফোনে যোগাযোগ থাকত। ল্যান্ডফোনে যোগাযোগ ছিল। আমি মাঝে মধ্যে যখন ফোন করতাম। ভীষণ খুশি হতেন। ডাকতাম মনু জেঠু বলে কিন্তু হিসেব মতো তিনি আমার দাদুর বয়সী। অফস্ক্রিনও সে রকমই কেমিস্ট্রি ছিল আমাদের। ভীষণ স্নেহ করতেন। ভালবাসতেন আরও বেশি। বাড়িতে ফোন করে বলতাম নাতনি বলছি, খুব খুশি হতো।

মনু জেঠু নেই। আমিও হয়তো থাকব না একদিন। তবে আমৃত্যু একটি ঘটনা আমার মনে থেকে যাবে। যে দিন তাড়াতাড়ি প্যাকআপ হতো আমি আর উনি এক গাড়িতে বাড়ি ফিরতাম। কসবার ওখানে থাকতেন মনু জেঠু। আমাদের শুটিং হতো রুবিতে। আগে নামতেন উনিই। বাড়ির দরজায় ওঁকে নামিয়ে আমাকে নিয়ে কলকাতার অন্ধকার ভেদ করে ছুটত প্রোডাকশানের গাড়ি। আমি পিছন ফিরে দেখতাম, নেমেই বাড়িতে না ঢুকে গেটের সামনে একটানা দাঁড়িয়ে আছেন মনু জেঠু, তাঁর চোখ আমার গাড়ির দিকে। হাত নেড়ে টাটা করছেন। আমিও হাত নাড়তে নাড়তে ক্লান্তি বয়ে বাড়ি ফিরতাম। ড্রাইভারকে তার আগে বারবার বলতেন, ওকে সাবধানে পৌঁছে দিও, সাবধানে যেন যায়… । ঠিক যেন বাড়ির লোক। এমনটাই ছিলেন মনু জেঠু… ছিমছাম সাদামাঠা এক নিপাট ভালমানুষ।

আরও পড়ুন: ‘এমন ব্যান্ড বাজাব তোমার…’, রাখীকে প্রকাশ্যেই হুমকি দিলেন প্রাক্তন স্বামী