Sonali Chakraborty Death: প্রয়াত অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তী, স্বামী শঙ্কর লিখেছেন, ‘ভরা থাক স্মৃতিসুধায়…’
Shankar Chakraborty: সোনালী-শঙ্করের একমাত্র কন্যা মুম্বইয়ে কর্মরত। মেয়ে ও স্বামী তাঁকে সুস্থ রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন।
প্রয়াত বাঙালি অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তী। তাঁর আরও একটি পরিচয়, তিনি অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তীর স্ত্রী। সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সোনালী। বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, লিভারে ক্যান্সার হয়েছিল। সেই ক্যান্সারজনিত সমস্যার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল।
সোনালীর অকাল মৃত্যুতে শোকাহত টলিউড। তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। শ্মশানে হাজির হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে তিনি ফুল দিয়েছেন। বাংলা বিনোদন জগতের অনেকেই উপস্থিত হয়েছেন সেখানে। যেমন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দন সেন, দিগন্ত বাগচী, সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমিত্র মিত্র, রানা মিত্র, জ্যোতিষ্মান চট্টোপাধ্যায়রা।
টলিউড অন্দরে তাঁর সহকর্মীরা TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন, দীর্ঘ ধরে নানারকম শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন সোনালী। শরীর একেবারেই ভাল ছিল না তাঁর। প্রায়ই হাসপাতালে ভর্তি করতে হত তাঁকে। গত অগস্ট মাসেও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। সেই সময় তাঁর পেটে ফ্লুইড জমে গিয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমকে তেমনটাই জানিয়েছিলেন শঙ্কর। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন সোনালী।
সোনালী অসুস্থ ছিলেন বটে, কিন্তু কাজ বন্ধ করে দেননি পুরোপুরি। তাঁকে ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকে দেখা যায় শোলাঙ্কির জেঠিমার চরিত্রেও। অসুস্থতার মধ্যেও প্রাণশক্তিতে ভরপুর ছিলেন সোনালী। এবার কালীপুজোতে বাজিও পুড়িয়েছিলেন প্রাণ ভরে। প্রায়সই বেড়াতে যেতেন। স্ত্রীকে ভাল রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন শঙ্কর।
স্ত্রীকে হারিয়ে একপ্রকার বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন শঙ্কর চক্রবর্তী। তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। ঘণ্টাখানেক আগে ফেসবুকে স্ত্রী সোনালীর একটি ছবি পোস্ট করে শঙ্কর লিখেছেন, “ভরা থাক স্মৃতিসুধায়”। মেয়ে সাজি থাকেন মুম্বইয়ে। তিনি সেখানেই কর্মরত। তবে মায়ের অসুস্থতার জন্য কলকাতায় ছুটে-ছুটে আসেন।
সোনালির মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “সোনালী দি…বিদায়… অনেক পুরনো সব স্মৃতি!’ নাচনি ‘ টিভি সিরিয়াল, আমি তখন ক্লাস সিক্সে। প্রথম দেখেছি তোমাকে। অভিনয় করেছি তোমার পাশে দাঁড়িয়ে। কী সুন্দর দেখতে! হাঁ করে দেখতাম। তোমার অত লম্বা চেহারা, টানা-টানা চোখ, ছবি আঁকার মত সুন্দর ভ্রু, একগাল হাসি, সুন্দর নাচতে ও….…. মনে থাকবে তোমাকে। শেষ তোমার ছবি দেখলাম কালীপুজোর দিন বাজি পোড়ানোর.. শঙ্করদাই পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।না, ওই চেহারাটা মনে রাখতে চাই না। সেই ‘নাচনি’র সময়কার মুখটা আর পরবর্তীকালে আরও কত-কত বার দেখা মুখটাই মনে রাখতে চাই। অনেক কষ্ট পেয়েছ। শরীর বাধ সাধলে কীই বা করার থাকে আমাদের? শঙ্করদা আর সাজি অনেক চেষ্টা করেছে জানি। খবর পেতাম। ওদের দু’জনকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই। চির শান্তিতে ঘুমাও সোনালীদি।”