AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Aindrila Sharma Birthday: ‘আজ ভোরে হঠাৎই …’, ঐন্দ্রিলার জন্মদিনে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা গৌরবের

Aindrila Sharma: আজ অর্থাৎ রবিবার ঐন্দ্রিলা শর্মার জন্মদিন। কেক কাটার জন্য অপেক্ষায় বন্ধুরা। অপেক্ষায় পরিজনেরাও। তবু মিষ্টি নেই কাছে।

Aindrila Sharma Birthday: 'আজ ভোরে হঠাৎই ...', ঐন্দ্রিলার জন্মদিনে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা গৌরবের
ঐন্দ্রিলার জন্মদিনে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা গৌরবের
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2023 | 11:15 PM
Share

আজ অর্থাৎ রবিবার ঐন্দ্রিলা শর্মার জন্মদিন। কেক কাটার জন্য অপেক্ষায় বন্ধুরা। অপেক্ষায় পরিজনেরাও। তবু মিষ্টি নেই কাছে। ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া এই প্রথম জন্মদিন পালন তাঁর পরিবারের। আর এ দিন ভোরেই হঠাৎই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন ঐন্দ্রিলা শর্মার ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু গৌরব রায় চৌধুরী। ভোরে আধো ঘুমে আজ তিনি নাকি ঐন্দ্রিলাকে দেখতে পেয়েছেন, এমনটাই দাবি তাঁর। গৌরব লিখছেন, “শুভ জন্মদিন ঐন্দ্রিলা শর্মা। তুমি সবার মাঝে না থাকলেও আজীবন সবার মনে রয়ে যাবে, ভাল থেকো যেখানেই থাকো।” এর পরেই গৌরব ভাগ করে নিয়েছেন, তাঁর আজকের এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা। তাঁর কথায়, “অদ্ভুত…আমার মনে হল অবচেতন অবস্থায় আজ ভোরে ঘুজের ঘোরে তোমায় আমি দেখেছি। বিষয়টা একটু অদ্ভুত হলেও সত্যি। ভাল থেকো বন্ধু।” কথায় বলে, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর”। ঐন্দ্রিলার ভাল বন্ধু ছিলেন গৌরব। তাই জন্মদিনে হয়তো তাঁকে বারবার মনে পড়ছিল তাঁর। অবচেতনও বলে দিচ্ছিল ঐন্দ্রিলা আছেন। সব্যসাচী চৌধুরী সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়েছেন আগেই। তাই জন্মদিনে আবেগঘন কোনও পোস্ট তিনি করেননি। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় থাককেও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যে বরাবরই চুপ তিনি।

শুধু সতীর্থরাই নয়, এ দিন সকাল থেকেই ফ্যানক্লাবগুলির পক্ষ থেকেও শেয়ার করা হচ্ছে একের পর এক ছবি, একের পর এক ভিডিয়ো। কণ্ঠে ঝরে পড়ছে কাতর আকুতি, ‘দিদি কেক নিয়ে বসে আছি, ফিরে এস প্লিজ’। ঐন্দ্রিলা আর ফিরবেন না। গত ২০ নভেম্বর প্রয়াত হয়েছেন ঐন্দ্রিলা। দু’বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জয়ী হয়ে ফিরলেও তৃতীয়বার আর পারেননি। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে হয়েছিল বারংবার হৃদরোগও। চলে যান ঐন্দ্রিলা। মৃত্যুর কিছু দিন আগে পর্যন্তও করেছেন নতুন সিরিজের শুটিং। ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। বহরমপুরেই ঐন্দ্রিলার বড় হয়ে ওঠা। সেখানেই কেটেছে তাঁর স্কুলজীবন। স্কুলে দিদি ঐশ্বর্য ছিলেন চিরকালের শান্ত, লেখাপড়ায় মনোযোগী। ঐন্দ্রিলা ছিলেন স্কুলের জান। দুষ্টুমিও করতেন তিনি। টিভিনাইন বাংলার কাছে এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রীর মা শিখা দেবী। তাঁর কথায়, “আমার বড় মেয়েটা পড়ুয়া। ছোটটা ছিল দস্যি। প্রায়দিনই স্কুল থেকে গার্ডিয়ান কল হত ঐন্দ্রিলার জন্য। মারামারিও করেছে। কিন্তু ওকে ছাড়া কিছুই সম্পূর্ণ হতে না স্কুলে। এক্সট্রা ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতে আমার ছোটটা ছিল চ্যাম্পিয়ন… নাচে, গানে, আবৃত্তিতে প্রথম…”। আজ যদিও সবই স্মৃতি, সেই স্মৃতিকেই সম্বল করে বাঁচছে শর্মা পরিবার।