Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Parambrata On Bhaiphonta: ভাইফোঁটার দিন শহর থেকে দূরে শুটিংয়ে ব্যস্ত পরমব্রতের মন ছুঁয়ে যাওয়া পোস্ট

Parambrata On Bhaiphonta: তিনি ভাইফোঁটার শুভেচ্ছা সকলকে জানিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে রয়েছে মন ছুঁয়ে যাওয়া কিছু কথা।

Parambrata On Bhaiphonta: ভাইফোঁটার দিন শহর থেকে দূরে শুটিংয়ে ব্যস্ত পরমব্রতের মন ছুঁয়ে যাওয়া পোস্ট
ভাইফোটা উপলক্ষে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মন ছুঁয়ে যাওয়া পোস্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2022 | 10:03 PM

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এখন ব্যস্ত নতুন সিনেমা ‘নোটারি’-র শুটিংয়ে। গীতা বসরা এই ছবি দিয়ে বছর ছয় ফিরছেন সিনেমায়। তিনি রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ভূপালে। মাঝে মাঝে শুটিং ফ্লোর থেকে কিছু কিছু মুহূর্ত ভাগ করছেন তিনি। দুই দিন আগেই ভোরের শুটিং স্পটের ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন ভক্তদের জন্য। আজ ভাইফোঁটা। আর এই দিনটি অবশ্যই মিস করছেন নিজের ভাইবোনেদের সঙ্গে না কাটাতে পেরে। তিনি ভাইফোঁটার শুভেচ্ছা সকলকে জানিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে রয়েছে মন ছুঁয়ে যাওয়া কিছু কথা। তবে সবটা তাঁর লেখা নয়, তাঁর এক মামাতো বোনের লেখা। যিনি ইনস্টাগ্রামে নেই, কিন্তু ফেসবুকে রয়েছেন। সেখানেই শেয়ার করেছেন ভাইবোনের এই বিশেষ দিনের শৈশব স্মৃতি। শুটিংয়ে ব্যস্ত পরমব্রতও এই পোস্টে হয়েছেন নস্ট্যালজিক। তাই বোনের পোস্ট তিনি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। সঙ্গে রয়েছে তাঁর নিজের কথাও।

বোনের দেওয়া শৈশবের ছবি রি-পোস্ট করে পরমব্রত লিখেছেন, “ভাইফোঁটা আমাদের শৈশব এবং কৈশোর জুড়ে একটি বিশেষ দিন ছিল… যতক্ষণ না আমরা সবাই বড় হয়েছি এবং সমস্ত কাজিনরা বিশ্বের বিভিন্ন কোণে ছড়িয়ে পড়েছি।  এখন এসেছে হোয়াটসঅ্যাপে ভাইফোঁটার শুভেচ্ছা! কিছু করার নেই, এগুলো এখন মেনে নিতেই হয়। এই বছর  যখন আমি ভোপালে শুটিং করছি,  আমার প্রিয় মামাতো বোনদের একজন, যাঁর সঙ্গে আমি বড় হয়েছি এবং আমরা এখনও খুব কাছাকাছি আছি।  এই ছবিটি তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করেছে একটি অবিশ্বাস্য সুন্দর লেখার সঙ্গে। তাঁর লেখা আমাকে বেশ আবেগপ্রবণ করে তুলেছে! সেই ছবির পাশাপাশি,  এখানে তাঁর লেখাটিও কপি পেস্ট করলাম। (তিনি ইনস্টাগ্রামে নেই, তাই ট্যাগ বা উল্লেখ করতে পারছি না…)”

তাঁর বোন যা লিখেছেন, তাতে পরমব্রতের ভক্তরাও ভাইবোনের স্মৃতির সঙ্গী হয়েছেন। তাঁর বোন লিখেছেন, “যখন  থেকে জ্ঞান হয়েছে সবসময় দাদাকেই দেখতে পেতাম। আর দাদাকেই নিজের দাদা বলে ভাবতে শিখেছি। আমার চার জন মাসতুতো দাদা ছিল, ভালবাসতো ও খুব। কিন্তু আমার বাবান দাদা ছিল মাত্র দুবছরের বড়। তাই আমরা একে অপরের কাছে মনের কথা বলতাম। ব্যবসায়ী খেলা, লুডো খেলা, একসরসিস্ট দেখে ভয় পাওয়া, টার্মিনেটর টু দেখে অবাক হয়ে যাওয়া, ব্যাটম্যান থেকে বিমোহিত হওয়া, সব কিছুই একসঙ্গে। দাদার সম্পর্কে একটা কথা হয়ত অনেকেই জানে না, দাদার ওইটুকু বয়স থেকেই জানার খুব আগ্রহ ছিল।।নানা রকমের বই পড়ত। আমাকে গল্প বলতো। দাদাই ছিল আমার মেন্টর। এতটা একসঙ্গে বড় হয়েছি বলে আমি অনেকটাই কম মেয়েলি বলে মনে হয় আমার, কারণ দাদার দ্বারা প্রভাবিত ছিলাম। খুব ছোটবেলায় আমরা বন্দুক দিয়ে খেলতাম। যেটা এমন হলো যে রোমান্টিক সিনেমার চেয়ে মারামারি ভাল লাগত।  ভাল লাগত হট উইলসের গাড়ি।

আমরা আজ ও দেখা হলে বলি একসঙ্গে দিদার ঘরে হাজার হট্টগোলের মধ্যে কীভাবে আমরা হাসা হাসি করে পড়াশোনা করতাম, আর কীভাবে পাশ করতাম। ভাইফোঁটার দিনগুলোয় কিন্তু উপোষ করতাম না। দাদা সকালে এলে ফোঁটা দিয়ে খেতাম। পরেও দাদা যখন বড় হয়েছে দাদার সময়মতো এসেছে উপোষ করিনি। এখন দাদার সঙ্গে দেখা হয়, তখন ছোটবেলায় ফিরে যাই। আজ ভাইফোঁটায় দাদার সঙ্গে দেখা হয়নি, কিন্তু আমার শুভকামনা সবসময়ই তাঁর সঙ্গে। আমার বাকি দাদাদের বা দাদার তুল্য সকলকেই জানাই শুভকামনা।”