তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। তিনি নাকি বিভিন্ন অভিনেতাকে ছবি থেকে বাদ দিয়েছিলেন। নিজে বড় হবেন বলে তিনি নাকি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কেরিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। সরাসরি প্রসেনজিতের নাম করেই অভিযোগ তুলেছিলেন শ্রীলেখা। প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ছিল প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের। তিনিও একটি শোতে এসে মুখ খুলেছিলেন। এই সমস্ত দেখে এবং শুনে কোনওদিনই কোনও মন্তব্য করেননি প্রসেনজিৎ। ইন্ডাস্ট্রির একটা অংশের কাছে তিনি যেমন ভিলেন, ঠিক বিপরীতে তিনিই কারও কারও কাছে পরম আপন দাদা কিংবা বন্ধু। বাংলা ছবির ‘ইন্ডাস্ট্রি’ মনে করা হয়ে ‘বুম্বাদা’কে (পড়ুন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়)। বরাবরই বাংলা ছবিকে প্রোমোট করেন তিনি। তার সাম্প্রতিক নিদর্শন অনীক দত্তর ‘অপরাজিত’।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে এসে পোস্ট করেছেন প্রসেনজিৎ। ‘অপরাজিত’র ট্রেলার দেখে বাহবা জানিয়েছেন। লিখেছেন, “‘অপরাজিত’র ট্রেলার দেখে বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে। অনেক শুভেচ্ছা টিম ‘অপরাজিত’…”
বিষয়টি মনে ধরেছে অনীক দত্তরও। প্রসেনজিতের পোস্ট শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “প্রসেনজিৎ, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি, যে কথা দিয়েছিলাম, তা রাখতে পারব।” ‘অপরাজিত’ মুক্তি পাবে ১৩ মে। সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির যুদ্ধ নিয়ে ছবির গল্প। জন্ম শতবর্ষে সত্যজিৎকেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনীক।
সম্প্রতি দেব অভিনীত ও প্রযোজিত ‘কিশমিশ’ ছবির জন্য প্রচার করেছেন প্রসেনজিৎ। রিল তৈরি করে পোস্ট করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রামে। সেই রিলগুলিতে অংশ নিয়েছেন দেব, রুক্মিণী ও প্রসেনজিতের পুত্র মিশুকও।
প্রসেনজিৎ বারবারই একটা কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলা ছবির সঙ্গে থাকুন। বাংলা ছবির পাশে থাকুন। বাংলা ছবিকে ফের রমরমিয়ে চালানর জন্য দর্শকই একমাত্র ভরসা। আর ভরসা ভাল বাংলা ছবি।