Kushal Chakraborty: ক্লাস ফোর পর্যন্ত স্কুলেই যায়নি ‘সোনার কেল্লা’র মুকুল, অর্থাৎ অভিনেতা কুশল চক্রবর্তী; অভাব না অন্যকিছু, কী ছিল কারণ?
Sonar Kella-Kushal Chakraborty: চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত না পড়েও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়রিং পাশ করেছিলেন কুশল। আজও তিনি দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেন।
‘সোনার কেল্লা’… সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী ছবি। তার উপর প্রথম ‘ফেলুদা’ ছবি। অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সন্তোষ দত্তর মতো অভিনেতারা। সেই ছবিতেই প্রথম অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন অভিনেতা কুশল চক্রবর্তী। তিনি অভিনয় করেছিলেন ‘সোনার কেল্লা’র জাতিস্মর শিশু মুকুলের চরিত্রে। মাত্র ৬ বছর বয়সের কুশলের মধ্যেই সত্যজিৎ রায় খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁর মুকুলকে। পরবর্তীতে মুকুল হয়ে ওঠে এক আইকনিক চরিত্র। আজও সেই চরিত্র নিয়ে কথা বলতে গেলে চোখ চিকচিক করে ওঠে অভিনেতা কুশলের। সম্প্রতি একটি আশ্চর্য তথ্য কুশল ভাগ করে নিয়েছেন TV9 বাংলার সঙ্গে। জানিয়েছেন তিনি নাকি ক্লাস ফোর পর্যন্ত স্কুলেই যাননি। ভাবুন!
বছর খানেক আগে নন-ফিকশন শো ‘অপুর সংসার’-এ অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি বসেছিলেন কুশল। সেখানে তিনি ভুলবশত বলেছিলেন ক্লাস টু-তে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। TV9 বাংলার কাছেই তিনি বলেছেন, “ক্লাস টু-তে নয়, আমি স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম ক্লাস ফোরে।”
এমনটা কেন ঘটেছিল?
TV9 বাংলাকে কুশল বলেছেন, “আমি ‘অপুর সংসার’-এ ভুল বলেছিলাম। পরে মা আমাকে সংশোধন করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ক্লাস টুতে হয়, আমি সরাসরি ভর্তি হয়েছিলাম ক্লাস ফোরে। আসলে বাবা-মা দু’জনেই শিক্ষক ছিলেন। আমাকে ক্লাস ফোর পর্যন্ত বাড়িতেই পড়িয়েছিলেন। তাতে আমার কিন্তু কোনও ক্ষতি হয়নি। আমি যখন মুকুলের চরিত্রে অভিনয় করি, আমার বয়স ছিল ৬। ছবিটা হওয়ার পর যেখানেই যেতাম আমাকে জিজ্ঞেস করা হত কোন স্কুলে পড়ি, কোন ক্লাসে পড়ি। আমি বলতে পারতাম না। এদিকে স্কুলে ভর্তি হওয়াও চাপের ব্যাপার ছিল। কারণ, আমি তো স্কুলেই যাইনি। সে সময় সত্যজিৎ রায়ের কাছে গেলেন বাবা। তিনি ছিলেন ‘পাঠভবন’ স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য। তিনি একটি চিঠি লিখলেন। আমার পরীক্ষা হল। ঠিক হল ক্লাস ফোরে ভর্তি করা হবে। তারপর একেবারে ক্লাস ফোরেই স্কুলে ভর্তি হলাম।”
চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত না পড়েও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়রিং পাশ করেছিলেন কুশল। আজও তিনি দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেন।