Ridhima Ghosh: খোলা পিঠের ছবি দিতেই ব্যাপক সমালোচনা ঋদ্ধিমার, ছাড় পেলেন না শ্বশুর সব্যসাচীও
Ridhima Ghosh: প্রসঙ্গত, গত বছর করোনায় মাকে হারান ঋদ্ধিমা। প্রতিটি দিন, প্রতি মুহূর্তে মাকে মিস করেন, মাকে মনে পড়ে ঋদ্ধিমার। তবুও কোনও কোনও দিন হয়তো তার মধ্যেই কিছুটা আলাদা।
ট্রোলের শিকার টলিপাড়ার ‘সত্যবতী’ ঋদ্ধিমা ঘোষ (Riddhima Ghosh) । খোলামেলা ছবি পোস্ট করতেই ধেয়ে এল একের পর এক আক্রমণ। এখানেই শেষ নয়, টেনে আনা হল বিবাহসূত্রে ঋদ্ধিমার শ্বশুর সব্যসাচী চক্রবর্তীর (Sabyasachi chakraborty) নামও। নীতিপুলিশদের রোষানলে অভিনেত্রী। ফ্যাশন ফোটোগ্রাফার তথাগত ঘোষের লেন্সে বন্দি হয়েছেন ঋদ্ধিমা। বিছানার চাদর জড়িয়ে পোস্ট করেছেন এক ছবি। আর তাতেই সমস্যা নেটিজেনদের একটা বড় অংশের।সব্যসাচী চক্রবর্তীর নাম উল্লেখ করে এক নেটাগরিকের বক্তব্য, “খুব উন্নতি করছে সব্যসাচীর দুই পুত্রবধু। নগ্ন হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে।” আর একজনের মন্তব্য, “তোমাকে অন্যরকম ভাবতাম”। এরকম বক্তব্য রয়েছে আরও। তবে ট্রোলের মাঝেই জুটেছে প্রশংসাও। স্বামী গৌরবই পাঠিয়েছেন ভালবাসা। কেউ আবার চেনা ছকের বাইরে অন্যভাবে ঋদ্ধিমাকে দেখে তারিফই করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং (Trolling in social media) নতুন ঘটনা নয়। সেলিব্রিটিরাই মূলত এর ‘সফট টার্গেট’। এ নিয়ে বহুবার বহু সেলেব সরব হলেও ট্রোলিং থামেনি।
প্রসঙ্গত, গত বছর করোনায় মাকে হারান ঋদ্ধিমা। প্রতিটি দিন, প্রতি মুহূর্তে মাকে মিস করেন, মাকে মনে পড়ে ঋদ্ধিমার। তবুও কোনও কোনও দিন হয়তো তার মধ্যেই কিছুটা আলাদা। মা ছাড়া পৃথিবীটা মেনে নেওয়া তো নেহাত সহজ নয়। ঋদ্ধিমাও ব্যতিক্রম নন। মা যে নেই, এটা এখনও মেনে নিতে পারেন না তিনি। সোশ্যাল ওয়ালে মায়ের ছবি শেয়ার করেছেন আগেও। শেয়ার করেছেন নিজের মনের কথাও। মায়ের সব স্বপ্ন পূরণ করার প্রতিজ্ঞা করেছেন অভিনেত্রী। একই সঙ্গে তাঁর উপলব্ধি, মায়ের মতো তাঁকে আর কেউ কখনও ভালবাসবে না! মাকে ছাড়া নিজেকে অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে ঋদ্ধিমার। আসলে কঠিন বাস্তব মেনে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় কারও থাকে না। মা নেই, এটা মেনে নিতে কষ্ট হলেও অভিনেত্রীকে মেনে নিতে হবে। তাঁর উপরে তো এখন অনেক দায়িত্ব। মাকে নিজের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল গৌরব-ঋদ্ধিমার পরিবার। গৌরবের দিদা মারা গিয়েছেন। মায়ের পর করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ঋদ্ধিমার বাবা। তারপরই গৌরব-ঋদ্ধিমার রিপোর্টও পজিটিভ আসে। সব মিলিয়ে পারিবারিক বিপর্যয়ে কেটেছে গত কয়েক মাস। সব কিছু সামলে ধীরে ধীরে ফের স্বাভাবিক রুটিনে, দৈনন্দিন জীবনে ফিরছিলেন তাঁরা। এরই মধ্যে এ হেন কুৎসিত ট্রোলিং। তিনি অবশ্য জবাব দেননি ট্রোলের। দিন কাটছে নিজের শর্তে।
View this post on Instagram