Sweta-Rubel: ‘হ্যাঁ, সম্পর্কে রয়েছি’, মহাসপ্তমীতেই শ্বেতার সঙ্গে প্রেম স্বীকার রুবেলের
Sweta-Rubel: 'টিভিনাইন বাংলা ফোন করতেই খানিক লাজুক হেসে, খানিক ইতস্তত করে রুবেল বলেই দিলেন প্রেম চলছে এক্সপ্রেসের মতো।
বিহঙ্গী বিশ্বাস
ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল আগেই, তবে সম্মতি কিছুতেই দিচ্ছিলেন না ওঁরা। ওই যা হয়, ‘ভাল বন্ধু’ তকমা দিয়েই এগচ্ছিল সম্পর্ক। তবে পুজোর মরসুমে আর লুকিয়ে রাখা হয়। তাই টিভিনাইন বাংলা ফোন করতেই খানিক লাজুক হেসে, খানিক ইতস্তত করে রুবেল বলেই দিলেন প্রেম চলছে এক্সপ্রেসের মতো। শ্বেতা ভট্টাচার্যকেই দিয়েছেন মন। আর নায়িকার মনেও প্রজাপতি এখন অবাধ্য যাতায়াত।
শোনা গিয়েছিল বছর দুয়েক আগেই নাকি শ্বেতাকে প্রেমপ্রস্তাব দেন রুবেল। চিনতেন আগে থেকেই। কিন্তু ধারাবাহিক করতে গিয়ে রিল লাইফ নায়িকার প্রেমে নাকি পড়ে গিয়েছিলেন হঠাৎই। শোনা এও গিয়েছিল, শ্বেতা নাকি এখনও পর্যন্ত প্রেমে সেভাবে সাড়া দেননি। যদিও রুবেল সে কথা মানলেন না। স্পষ্ট ভাবেই বললেন, “দুজনকে দুজনকে ডেট করছি এ কথা তো ঠিক, পরিবারের লোকেরাও সবটাই জানে। কিন্তু ওভাবে অফিসিয়ালি প্রেম প্রস্তাব কেউই কাউকে দিইনি।” যোগ করলেন, “আসলে এখন তো সম্পর্ক অনেক ঠুনকো হয়। তাই আমরা গোটা ব্যাপারটার জন্য নিজেদের সময় দিচ্ছি। একে অপরকে চিনছি, বুঝছি ভাল করে।”
‘যমুনা ঢাকি’ করতে গিয়েই কি দুজনের প্রেম হল? আবারও সেই লাজুক হাসি আর উত্তর, ” বারাসাতে দেবাশিষ ঘোষের স্কুল, ওই একই ডান্স গ্রুপ থেকে আমরা দুজনেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তাই ওকে আমি চিনি বহুদিন ধরেই। কিন্তু যমুনাঢাকি করতে গিয়েই সেই বন্ধুত্বটা আরও একটু বেশি হয়ে গেল।” ইচ্ছে রয়েছে আগামী বছর এক বিশেষ দিনে সম্পর্কের কথা অনুরাগীদের সঙ্গেও শেয়ার করে নেবেন। তার আগে নিজেদের বোঝার জন্য যতটা সময় লাগে, নিতে চান তাঁরা। আর বিয়ে? সে পরিকল্পনাও কি অদূর ভবিষ্যতে রয়েছে? ফোনের ওপাশ থেকে ভেসে এল উত্তর, “সবটাই তো ভাগ্য, আপাতত দুজন দুজনের সান্নিধ্য ভীষণ ভাবে উপভোগ করছি। সেটাই করতে চাই।” সৌরভ-অনিন্দিতা থেকে শুরু করে রোহন সৃজলা– টলিউডে যখন একের পর এক ব্রেকআপের খবর শোনা যাচ্ছে তখন এ খবর যে নেহাতই শরতের মন ভাল করে দেওয়া সেই সাদা মেঘ– তা বোধহয় আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অনুরাগীরা কী বলবেন?