Rudrnali Ghosh: ‘তোমার জন্য চিন্তা হয় …’, কার উদ্দেশ্যে এমনটা বললেন রুদ্রনীল ?
এ বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আচমকাই বিজেপিতে যোগদান করে চমকে দিয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। বিজেপির তরফে তাঁকে প্রার্থীও করা হয়েছিল ভবানীপুর কেন্দ্রে।
‘তোমার জন্য চিন্তা হয়, তুমি তো প্রীতি জিন্টা নয়…’
চন্দ্রবিন্দুর এই গানেই একদা বুঁদ ছিল বাঙালি। সেই গানের কথারই ২০২১-এ হঠাৎ দেখা মিলল অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে। গালে হাত, তিনি চিন্তিত। কার জন্য চিন্তা তাঁর? পাশে রয়েছেন যে ভদ্রলোক, নাকি রয়েছে অন্য কোনও সমীকরণ!
ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেছেন রুদ্রনীল। দেখা যাচ্ছে, রুদ্রর ঠিক পাশেই বসে রয়েছেন অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত। দুজনেরই গালে হাত। দুজনেরই মুখ গম্ভীর এবং খানিক চিন্তিত বলাও চলে। ক্যাপশনে চন্দ্রবিন্দুর গান, থুড়ি গানের ওই দুই লাইন। হ্যাশট্যাগে #মেমোরিজ। অর্থাৎ ছবিটি পুরনো। কার জন্য চিন্তা সে কথা রুদ্রনীল শেয়ার করেননি বরং ‘আপন মনের মাধুরী মিশায়ে’ নেটিজেনরাই নিজেদের মতো ভেবে নিয়েছেন ‘সাত-পাঁচ’। একজন লিখেছেন, বিজেপি থেকে তৃণমূলে হঠাৎই যোগদানকারী বাবুল সুপ্রিয়র জন্যই নাকি চিন্তিত রুদ্রনীল আবার অন্যদিকে আর একজন ভোটের আগে রুদ্রনীলের দলবদলকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, “এবার নিজেকে নিয়েই চিন্তা করার সময় এসেছে”।
View this post on Instagram
এ বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আচমকাই বিজেপিতে যোগদান করে চমকে দিয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। বিজেপির তরফে তাঁকে প্রার্থীও করা হয়েছিল ভবানীপুর কেন্দ্রে। কিন্তু সেই কেন্দ্রেও তিনি হেরে যান। ভবানীপুরে বিজেপির হারের অন্যতম কারণ হিসাবে রুদ্রনীল ঘোষের কাঠগড়ায় ‘তৃণমূলের ভোট চুরির কৌশল’। এ নিয়ে দিন কয়েক দিন কয়েক আগে টিভিনাইন বাংলাকে রুদ্রনীল বলেছিলেন, “বিজেপির হেরে যাওয়ার জন্য যদি কোনও খামতি থেকে থাকে তা হল তৃণমূল যে পদ্ধতিতে ভোট চুরি করেছে, তা আটকানোর কোনও ধারণা তৈরি করা যায়নি। আসলে এ ভাবে যে ভোট চুরি হয় তা ভাবাই যায় না। এর সঙ্গে মানুষের ভোট দেওয়ার কোনও সম্পর্কই নেই। মানে ভোট করানো, গণনা করানো তো আর মানুষের ভোট দেওয়ার উপর নির্ভর করে না। মানুষ তো ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এরপর কী ভাবে সেখানে দু’নম্বরি করা যায় তাতে তৃণমূল এতটাই তীক্ষ্ণ ও পারদর্শী তা বলার নেই। সঙ্গে আবার পুলিশের নির্লজ্জ সহযোগিতা। এটাই বিজেপি ধরতে পারেনি, এটাই বিজেপির দুর্বলতা ছিল। ”
ওই কেন্দ্রেই জয়ী বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদ ছাড়ায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের দিন ঘোষিত হয়েছে। শোভনদেবের জায়গায় ভোটে লড়তে চলেছেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি সাধারণ নির্বাচনে হেরে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন গত ৫ মে। অন্যদিকে এবার আর ভবানীপুরে বিজেপি রুদ্রনীলে ভরসা রাখেননি। বদলে বেছে নিয়েছেন ‘লড়াকু’ আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে।
প্রিয়াঙ্কাকে নিয়েও মুখ খুলেছিলেন রুদ্রনীল। টিভিনাইন বাংলাকে তিনি বলেছিলেন, “প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল যে কত বড় একজন লড়াকু মহিলা, বাংলায় ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে মানুষ তা দেখছেন। দীর্ঘদিন ধরে ভোট পরবর্তী হিংসাকে অস্বীকার করে চলেছে রাজ্য সরকার। অথচ প্রিয়াঙ্কা এই হিংসাকে কলকাতা হাইকোর্টের নজরে এনেছেন। অর্থাৎ ভোট পরবর্তী হিংসা যে রাজ্যে হয়েছে সেটার মান্যতা তিনি এনে দিয়েছেন। হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সিট গঠন করেছে। সত্যিই তো প্রিয়াঙ্কার লড়াই এই মান্যতা এই মান্যতা এনে দিয়েছে।”
আরও পড়ুন- Yash Dasgupta: সিঁথিতে পরিয়ে দিলেন সিঁদুর, বিয়ে করলেন যশ দাশগুপ্ত!