Debolina-Tathagata: বৈবাহিক সম্পর্কের ‘ফাটল’ দূরে সরিয়ে আবার কাছাকাছি দেবলীনা-তথাগত; কী বললেন অভিনেত্রী?
বন্ধু দেবশ্রীর বুটিকের ওয়েডিং কালেকশন লঞ্চের অনুষ্ঠানে একই ফ্রেমে ধরা দিলেন অভিনেতা-অভিনেত্রী। আর এই ছবি দেখেই অনেকরই প্রশ্ন, তবে কি সম্পর্কের বরফ গলল? সমীকরণে কি কিছু পরিবর্তন এল?
বৈবাহিক সম্পর্কে নাকি ফাটল ধরেছে দেবলীনা দত্ত ও তথাগত মুখোপাধ্যায়ের। সম্পর্কে নাকি ঘটেছে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন। এ প্রসঙ্গে এ যাবৎ কথার শেষ নেই। তাঁদের বিচ্ছেদ, সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে যখন সরগরম টলিপা়ড়া, তখনই নতুন বর-কনের সাজে ধরা দিলেন দেবলীনা দত্ত, তথাগত মুখোপাধ্যায়।
পরনে পৈঠানি কাজের লহেঙ্গা, সিঁথি ভর্তি সিঁদুর, মাথায় ফুলের মালা দিয়ে এ দিক-ও দিক করছেন দেবলীনা। অন্য দিকে, তথাগতও যেন নতুন বরের বেশে। জমকালো কাজের পাঞ্জাবি সঙ্গে মানানসই ধুতি। বন্ধু দেবশ্রীর বুটিকের ওয়েডিং কালেকশন লঞ্চের অনুষ্ঠানে একই ফ্রেমে ধরা দিলেন অভিনেতা-অভিনেত্রী। আর এই ছবি দেখেই অনেকরই প্রশ্ন, তবে কি সম্পর্কের বরফ গলল? সমীকরণে কি কিছু পরিবর্তন এল? নাকি এ নিছকই পেশাদারিত্ব?
চোখে-চোখ রেখে, হাতে-হাত রেখে , এ কি পেশাদারি দায়বদ্ধতা? আগে এই প্রসঙ্গে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলে চুপ ছিলেন অভিনেত্রী। বলেছিলেন, “আমি আর তথাগত এই মুহূর্তে আলাদা আছি। এটা কিন্তু একেবারে সত্যি। কিন্তু কী কারণে আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়েছে, তা নিয়ে আমি কোনও কথাই বলতে চাইছি না। অত্যন্ত ব্যক্তিগত একটা বিষয়, এই মুহূর্তে এটুকুই বলতে পারি। এতটাই প্রাইভেট যে, এটাকে আমি বিন্দুমাত্র পাবলিক করতে চাই না।”
অবশেষে এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দেবলীনা-তথাগত। বুধবার শহরে একটি বুটিকে ওয়েডিং কালেকশন লঞ্চ অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী বললেন, “অবশ্যই। পেশাদারিত্ব তো বটেই। ফ্রেমে একসঙ্গে দেখার সঙ্গে বন্ধুত্বের কোনও সম্পর্ক নেই ফ্রেমে আমি তার সঙ্গে থাকব কী থাকব না। তার সঙ্গে আমার কী সম্পর্ক, তা কখনওই এক নয়। আমি ভীষণ পেশাদার। আমি যে কারোর সঙ্গে এক ফ্রেমে আসতে পারি। তবে যাঁরা ভেবেছিলেন এরপর আর দেবলীনা-তথাগতকে একসঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা যাবে না, তাঁদের ভাবনাচিন্তা খুবই অপেশাদার বলতে বাধ্য হচ্ছি।”
অন্য দিকে, তথাগতর শান্ত উত্তর, “আমি মননের দিক থেকে খুব ছোট বা শিশু। এই কথাগুলো আমার সব ছেলেমানুষি মনে হয়। এক ফ্রেমে দেখা না-যাওয়া, পৃথিবীতে কোনও কিছুই স্থায়ী নয়। পরিবর্তনই একমাত্র স্থায়ী। সুতরাং আজ যেটা ভাবছি, কাল সেটার পরিবর্তন হয়ে যাবে। তাই-ই যারা ভেবেছিলেন আর আমাদের একসঙ্গে দেখা যাবে না অথবা আমরা একসঙ্গে কাজ করব না, এটা তাঁদের সীমাবদ্ধতা বা ছেলেমানুষি বলে আমার মনে হয়।” তিনি আরও যোগ করেন, “সূর্য কখনও কখনও ৫টা ২৫-এর জায়গায় ৫টা ৩৫-এও ওঠে। সুতরাং কোনও কিছু নিশ্চিত করে ধারণা করে নেওয়া ঠিক নয় বলে আমার মনে হয়।”