Mousumi Kundu: মাত্র ৩ বছর বয়সে দাদুর কাছে ইনোসেন্স হারাই: মৌসুমী কুন্ডু

Mousumi Kundu: মৌসুমী কুন্ডু কে চেনেন? নামে নাও চিনতে পারেন, কিন্তু তাঁর মেকআপ টিউটোরিয়াল আপনার নিউজ ফিডে একবার না একবার এসে থাকবেই। স্নিগ্ধ সাজে নিজেকে সাজিয়ে, ব্যাকগ্রাউন্ডে গান জুড়ে রিলস-ভিডিয়োতে তিনি মাতিয়ে রাখেন ডিজিটাল-পাড়া।

Mousumi Kundu: মাত্র ৩ বছর বয়সে দাদুর কাছে ইনোসেন্স হারাই: মৌসুমী কুন্ডু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 02, 2023 | 12:07 PM

মৌসুমী কুন্ডু কে চেনেন? নামে নাও চিনতে পারেন, কিন্তু তাঁর মেকআপ টিউটোরিয়াল আপনার নিউজ ফিডে একবার না একবার এসে থাকবেই। স্নিগ্ধ সাজে নিজেকে সাজিয়ে, ব্যাকগ্রাউন্ডে গান জুড়ে রিলস-ভিডিয়োতে তিনি মাতিয়ে রাখেন ডিজিটাল-পাড়া। তাতে ভিউজ, লাইকের ছড়াছড়ি। তবে জানেন কি, সোশ্যাক মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তরুণীর ছোটবেলা যেন ছিল দুঃস্বপ্ন। নিজের দাদুর কাছেই এমন কিছু ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে, যা হয়তো আপনার ভাবনাতীত। সম্প্রতি ‘জোশ টকস’ নামক প্ল্যাটফর্মে হাজির হয়ে সেই ঘটানাই তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সে আমার বাবা মারা যায়। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মায়ের বাবা মানে আমার দাদু আমাদের তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসে।”

একদিন দুপুর বেলা তিনি ও তাঁর দাদু বসে টিভি দেখছিলেন। মৌসুমীর বিস্ফোরক মন্তব্য, “সেই সময়েই আমার দাদু আমাকে তাঁর যৌনাঙ্গ ছুঁতে বলে। ওই সাড়ে তিন বছর বয়সেই আমি বুঝতে পারছিলাম কিছু একটা ভুল হচ্ছে। এরপরেই আমার দিদি ঘরে ঢোকে। দিদি আমার থেকে তিন বছরের বড়। ওকে সবটা বলি।” এরপর থেকে দাদুর আমৃত্যু চলেছে শারীরিক নিগ্রহ, অভিযোগ মৌসুমীর। তিনি যোগ করেন, “আমার মা-দিদা জানতেন। কিন্তু মায়ের অর্থনৈতিক অবস্থা এমনটা ছিল যে প্রতিবাদ করতে পারেননি। যখন আত্মীয়দের জানাই তখন দ্বিতীয় প্রশ্নটাই তাঁদের ছিল, ‘কোথায় আমাদের সঙ্গে তো হয় না! তোদের সঙ্গেই কেন হয়?’, না এর উত্তর আমার জানা নেই।” একসময় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল তাঁর। শুধু কি তাই? গায়ের রঙ নিয়েও নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকেও উড়ে এসেছে কটাক্ষ। তিনি জানিয়েছেন, অনেকেই নাকি বলতেন, “মেয়েরা কালো তো, পড়াশোনা শিখিয়ে লাভ নেই।”

শরীরের গঠন নিয়েও চলেছে লাগাতার খোঁটা। কিন্তু তিনি থেমে যাননি। ভাল লাগত মেকআপ। আর সেই মেকআপকেই হাতিয়ার করে নেমে পড়েছিলেন জীবন যুদ্ধে। ভিউজ হয়নি। তাও থামেননি মৌসুমী… চালিয়ে গিয়েছেন লড়াই। আর সেই লড়াইয়েরই ফসল মিলছে তাঁর এখন। ইউটিউবে ভাইরাল কন্টেন্ট তৈরি করে তিনি থাকেন শিরোনামে। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। পাশে রয়েছেন দিদি, আর দিদির ছোট্ট মেয়ে। ওই একরত্তিকেই জীবনের ‘চেঞ্জার’ মনে করেন তিনি। তাঁর এই লড়াইয়ের গল্প প্রকাশ্যে আসতেই কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেন। ওই একগাল হাসি, কপালে টিপ আর ঝুমকার নেপথ্যে যে লুকিয়ে রয়েছে এক জেদি মেয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প, তা এতদিন সকলের কাছেই যে ছিল অজানা।