মাধবী নয়, আরতি মুখোপাধ্যায়ই হতেন ‘সুবর্ণরেখা’র নায়িকা, কেন ঋত্বিক ঘটককে না বলেছিলেন গায়িকা?
তখন তোমার ২১ বছর বোধ হয়...বাঙালি কাছে এই কণ্ঠ খুব পরিচিত। খুবই প্রিয়। মুম্বইয়ে যখন লতা, আশাদের দখল, তখন মিষ্টি গলার বাঙালিকন্য়া আরতি মুখোপাধ্যায় ধীরে ধীরে মানুষের মন জয় করছেন।

তখন তোমার ২১ বছর বোধ হয়…বাঙালি কাছে এই কণ্ঠ খুব পরিচিত। খুবই প্রিয়। মুম্বইয়ে যখন লতা, আশাদের দখল, তখন মিষ্টি গলার বাঙালিকন্য়া আরতি মুখোপাধ্যায় ধীরে ধীরে মানুষের মন জয় করছেন। সুচিত্রা, তনুজা, সন্ধ্যা রায়ের লিপে একের পর এক মন মাতানো গান। মুম্বইয়েও গেলেন। হিন্দি ছবিতে বেশ কয়েকটা গানও গাইলেন। গুণীজনদের নজরেও এলেন। তবে লতা, আশার দাপট ও মুম্বইয়া রাজনীতি আরতিকে টিকতে দিল না। যে শিল্পী লতা, আশার সঙ্গে একই সিংহাসনে বসতে পারতেন। সে হঠাৎই অন্তরালে চলে গেলেন। কিছুটা যেন স্বেচ্ছায়। কিন্তু জানেন কি আরতি নায়িকা হওয়ার অফারও পেয়েছিলেন! তাও আবার ঋত্বিক ঘটকের ছবিতে?
ব্য়াপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। সময়টা ছয়ের দশক। সুবর্ণারেখা ছবি তৈরির পরিকল্পনা করছেন পরিচালক ঋত্বিক ঘটক। এই ছবিতে কলাবতী রাগের বিস্তার গেয়ে ঋত্বিক ঘটককে চমকে দেন। সঙ্গে সঙ্গেই আরতিকে ছবিতে অভিনয়ের অফার দেন ঋত্বিক। তাঁর মনে হয়েছিল, গানের সঙ্গে সঙ্গে অভিনয়টাও পারবেন আরতি।
তবে আরতি ঋত্বিকের সেই অফার ফিরিয়ে দেন। জানা যায়, তিনি গায়িকা হিসেবেই পরিচিত হতে চেয়েছিলেন। গানই তাঁর মনপ্রাণ-ধ্য়ানজ্ঞান। সেটা স্পষ্টই ঋত্বিককে জানিয়ে ছিলেন আরতি। এরপরই মাধবী মুখোপাধ্যায়ের কাছে অফার যায়। শোনা যায়, সুবর্ণারেখা এই গান শুনেছিলেন বম্বের প্রযোজক তাঁরাচাদ বরজাতিয়া। তাঁর কথাতেই বম্বে যান আরতি। রেকর্ড করেন সওদাগর ছবির গান। এটাই ছিল আরতির প্রথম হিন্দি গান।





