‘আমার জ্যেঠু উত্তম কুমার ভীষণভাবেই গিয়েছিলেন মুনমুন সেনের বিয়েতে’, দাবি তরুণ-কন্যার
Uttam Kumar: ত্রিপুরার রাজ পরিবারে মেয়ের বিয়ের সম্বন্ধ করেছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। ভরত দেব বর্মার সঙ্গে বিয়ে হয় মুনমুনের। সেই বিয়েতে প্রত্যাশা মতো টালিগঞ্জের অনেকেই আমন্ত্রিত ছিলেন। সেই আমন্ত্রিতদের তালিকায় উত্তম কুমারও ছিলেন এবং তিনি সশরীরে উপস্থিতও হয়েছিলেন। এই তথ্য প্রথমে সাধনবাবু জানিয়েছিলেন, পরে তা সমর্থন করেন তরুণ কুমারের কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুচিত্রা-কন্যা মুনমুন সেনের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন মহানায়ক উত্তমকুমার। এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল টিভি নাইন বাংলা ডিজিটাল। এরপর পাঠক মহলের একাংশে এই তথ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ পায়। কেউ বলেন, এই তথ্য ভ্রান্ত। অথচ টিভি নাইন বাংলা উত্তমকুমারের বিশ্বস্ত সহচর সাধন বাগচীর সঙ্গে কথা বলেই সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছিল। কিন্তু বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে জেনে তা নিরসনের জন্য টিভি নাইন বাংলা ডিজিটাল যোগাযোগ করে উত্তমকুমারের ভাইঝি, অর্থাৎ অভিনেতা তরুণ কুমারের কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (ডাকনাম ঝিমলি, ওই নামেই তিনি বেশি পরিচিত) সঙ্গে। মনামীদেবী এই বিভ্রান্তির কথা শুনেই বিরক্ত হন এবং অত্যন্ত প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, “আমার জেঠু উত্তমকুমার ভীষণভাবেই গিয়েছিলেন সুচিত্রা সেনের কন্যা মুনমুন সেনের বিয়েতে। আমাদের সামনেই ঘটেছে পুরো বিষয়টা। আমি তখন ছোট ছিলাম। সুচিত্রা সেন আমাদের বাড়িতে নিজে এসেছিলেন নেমন্তন্ন করতে। আমার আজও মনে পড়ে সেদিনটা সরস্বতী পুজো ছিল। তাই এটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে মুনমুন সেনের বিয়েতে আমার জেঠু উত্তমকুমার যাননি। আমি আবারও বলছি তিনি গিয়েছিলেন।”
ত্রিপুরার রাজ পরিবারে মেয়ের বিয়ের সম্বন্ধ করেছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। ভরত দেব বর্মার সঙ্গে বিয়ে হয় মুনমুনের। সেই বিয়েতে প্রত্যাশা মতো টালিগঞ্জের অনেকেই আমন্ত্রিত ছিলেন। সেই আমন্ত্রিতদের তালিকায় উত্তম কুমারও ছিলেন এবং তিনি সশরীরে উপস্থিতও হয়েছিলেন। এই তথ্য প্রথমে সাধনবাবু জানিয়েছিলেন, পরে তা সমর্থন করেন তরুণ কুমারের কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুনমুনের বিয়েকে কেন্দ্র করে অনেক গল্প আছে। অনেক কিছুই শোনা যায়। যেমন শোনা যায়, মুনমুনের বিয়েতে নাকি বাসরে ডুয়েট গেয়েছিলেন উত্তম-সুচিত্রা। তবে এটা কেবলই শোনা কথা। সত্যাসত্য বিচার করা যায়নি। মুনমুনের বিয়েতে নাকি সারাটাক্ষণই পাশেপাশে ছিলেন রাজরানী গায়েত্রীদেবীও। সম্পর্কে তিনি মুনমুনের মাসি শাশুড়ি। পরবর্তীতে সংসার করতে গিয়ে মুনমুন দেখেছিলেন, গায়েত্রীদেবী প্রতি বছরই অন্তত একমাস জন্য তাঁর প্রিয় বোনপো ভরত দেব বর্মার কাছে এসে থাকতেন।