কৌশানীর চুমুর দৃশ্যে ‘আপত্তি’ ছিল সেটা নয়: বনি
আমরা দু’ জনে মিলেই ঠিক করি, যদি চরিত্রের জন্য, ছবির জন্য এটা দরকার হয়, তা হলে করতে কোনও অসুবিধা নেই। আমি চিত্রনাট্য জানতাম না। জানতেও চাইনি। কৌশানীকে বলেছিলাম, তোমার যদি মনে হয় এটা করা দরকার, তা হলে করো। তবে বয়ফ্রেন্ড হিসাবে আমার সমস্যা হতেই পারে। অভিনেতা হিসাবে কোনও সমস্যা নেই।

‘কিলবিল সোসাইটি’ ছবিতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের একটা চুমুর দৃশ্য আছে। কৌশানী নিজেই খোলসা করেছেন, এই চুমু নিয়ে তাঁর বয়ফ্রেন্ড অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর আপত্তি ছিল। এবার TV9 বাংলার কাছে মন খুললেন বনি। তাঁর বক্তব্য, ‘কৌশানী যখন বলল, এই ছবিতে একটা লিপলক রয়েছে, তখন আমি বললাম রাতে যখন আমরা বাড়ি ফিরি, তখন বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডের সম্পর্ক। সেই নিরিখে অবশ্যই আমার সমস্যা হবে এটা মেনে নিতে। কিন্তু আমরা দু’ জনে মিলেই ঠিক করি, যদি চরিত্রের জন্য, ছবির জন্য এটা দরকার হয়, তা হলে করতে কোনও অসুবিধা নেই। আমি চিত্রনাট্য জানতাম না। জানতেও চাইনি। কৌশানীকে বলেছিলাম, তোমার যদি মনে হয় এটা করা দরকার, তা হলে করো। তবে বয়ফ্রেন্ড হিসাবে আমার সমস্যা হতেই পারে। অভিনেতা হিসাবে কোনও সমস্যা নেই। ভুল বোঝানো হচ্ছে যে আমার ‘আপত্তি’ ছিল। আমি ‘আপত্তি’ তুলে ধরিনি। বলেছি বয়ফ্রেন্ড হিসাবে আমার প্রবলেম আছে। কৌশানীকেও আগে গার্লফ্রেন্ড হিসাবে এটা ফেস করতে হলে ওঁর সমস্যা হতো।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন দৃশ্যকে অন্য বিষয়ের সঙ্গে যোগ করে পোস্ট করার প্রবণতা আছে। সেই কারণেও কি চিন্তা? বনির উত্তর, ‘আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কোনও জিনিস ভাইরাল হতে এক সেকেন্ড সময় লাগে। অনেক মানুষ সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টায় থাকেন। আজকাল সম্পর্ক গড়ার থেকে ভাঙার খবর বেশি আসে। কেউ যাতে সম্পর্কটার কোনও ক্ষতি না করে, একজন মেয়েকে যাতে অকারণে কেউ বদনাম করতে না পারেন, ওই ভিডিয়োটাকে যাতে কেউ মিসইউজ না করেন, সেই জিনিসগুলো একজন বয়ফ্রেন্ড হিসাবে মাথায় কাজ করেছে। কৌশানীকে রক্ষা করার ব্যাপারে এবং আমাদের সম্পর্কের প্রোটেকশনের জন্যও।’





