AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মা ফোনে কথা বলছেন, আড়াল থেকে শুনে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন দেব, কী বলছিলেন দেবের মা?

কেরিয়ারের শুরুটা এতটা সহজ ছিল না। 'I LOVE YOU' ছবি দিয়ে পর্দায় বাজিমাত, তখনও নিজের বাড়ি ছিল না দেবের। সময় লাগেনি খুব বেশিদিন। স্বপ্নপূরণ করেছিলেন কেরিয়ার শুরুর মাত্র তিন বছরেই। 

মা ফোনে কথা বলছেন, আড়াল থেকে শুনে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন দেব, কী বলছিলেন দেবের মা?
| Edited By: | Updated on: Jun 03, 2025 | 2:24 PM
Share

তিনি আজ টলিপাড়ার সুপারস্টার, ‘খোকাবাবু’ থেকে হয়ে উঠেছেন কখনও ‘ব্যোমকেশ’, কখনও ‘প্রধান’, কখনও আবার ‘রঘু ডাকাত’। তিনি দেব। বাংলা সিনেজগতের অন্যতম কমার্শিয়াল হিরো। একের পর এক হিট ছবি তিনি দর্শকদের উপহার দিয়ে চলেছে। রাজনীতির ময়দানেও ছক্কা, আজ তিনি সাংসদও বটে। যদিও কেরিয়ারের শুরুটা এতটা সহজ ছিল না। ‘I LOVE YOU’ ছবি দিয়ে পর্দায় বাজিমাত, তখনও নিজের বাড়ি ছিল না দেবের। সময় লাগেনি খুব বেশিদিন। স্বপ্নপূরণ করেছিলেন কেরিয়ার শুরুর মাত্র তিন বছরেই।

দেবের এই লড়াইয়ে প্রতিটা পদে তাঁর পরিবারকে তিনি পাশে পেয়েছেন। সেই মায়ের মুখেই কোন কথা শুনে ফেলে কান্না চেপে রাখতে পারেননি অভিনেতা? তখন দেব সবে মাত্র মাকে নিয়ে বম্বে অর্থাৎ মুম্বই থেকে কলকাতায় এসেছেন। মাকে রেখেছিলেন হাওড়ার এক বাড়িতে। একদিন সকালে মাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দেব, সেদিন কী-কী ঘটে, সবটাই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন অভিনেতা। তখন সবে মাত্র কলকাতার বুকে বাড়ি কিনেছেন দেব।

অভিনেতা বললেন, “মাকে বলে রেখেছিলাম, বাড়ি নিয়েছি। কোন পাড়ায়, কোথায়, আর কিছুই বলিনি। মা শুধু জানে, ছোট্ট একটা বাড়ি নিয়েছি। বম্বে থেকে মাকে যখন নিয়ে এলাম হাওড়ার বাড়িতে, তারপর একদিন সেখান থেকে মাকে বললাম– চল একটা বাড়ি নিয়েছি, দেখে আসি। বাড়িটা দেখে মা বললেন– ভাল। এটা এমন কেন? ওটা অমন কেন? এত উঁচু, আমার তো ভয় লাগবে। তুই একটা কাজ কর, জানলাগুলোয় একটা দেওয়াল তুলে দে। আমার সমস্যা হবে। শুনে আমি একটু হতাশ হলাম। ভাবলাম, এত কষ্টের একটা বাড়ি। মাও নামলেন, গাড়িতে বসলেন। সঙ্গে-সঙ্গে দিদাকে একটা ফোন করলেন– মা শোনো, রাজু একটা ঘর নিয়েছে…।”

সাক্ষাৎকার দিতে দিতে দেব এখানেই খানিক চুপ। চোখের কোলে তখন জল। নিজেকে কিছুটা সামলে বলে উঠলেন, “মা সেদিন বলেছিলেন, আমার ছেলে তিন বছরে এই ঘর বানিয়েছে।” বলেই হাউ-হাউ করে কেঁদে ফেলেন দেব। মায়ের চোখে সেই খুশিই যেন দেবের শত পরিশ্রমের পুরস্কার। আজ সেই দেব, টলিপাড়ার বক্স অফিসে লক্ষ্মীলাভের অন্যতম সদস্য।