শ্বশুরবাড়িতে গেঞ্জি-শর্টস পরে ঘুরতে পারবেন না বলেই বিয়ে ভাঙল এষার?
Esha Deol: সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে এর বাইরেও দরকার আরও অনেক কিছু। যাই হয়তো মিসিং ছিল তাঁদের সম্পর্কে। ফল স্বরূপ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের।
সম্পর্ক যে ভাঙতে শুরু করেছে তা টের পাওয়া গিয়েছিল বছর চারেক আগেই। হেমা মালিনী মেয়ে এষা দেওল ২০২০ সালে একটি বই লিখেছিলেন। আর সেই বিয়েই তিনি ফাঁস করেছিলেন শ্বশুরবাড়ির নানা অজানা তথ্য। কীভাবে দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার পর থেকে স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে, কীভাবে সম্পর্কের পরিবর্তন হয়, সে সবই উল্লেখ ছিল সেই বইয়ে। শ্বশুরবাড়ি ও বাপেরবাড়ি যে মোটেও একরকম নয় তা যেন হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন এষা।
বইয়ে তিনি লেখেন, “যখন ২০১২ সালে আমাদের বিয়ে হয় অনেক কিছুই বদলে যায়। এই যেমন যখন ওর পরিবারের সঙ্গে থাকতে শুরু করি তখন শর্ট আর গেঞ্জি পরে বের হতে পারতাম না। বাড়িতে যেমন ভাবে থাকতাম সেভাবে থাকতে পারতাম না।” এষা আরও যোগ করেন, “তবে আমার শাশুড়ি ভীষণ ভাল মানুষ। নিজে যখন বৌমা ছিলেন তখন যে সব কাজ তাঁকে করতে হয়েছে আমাকেও সেই একই কাজ করতে মোটেও তিনি বাধ্য করেননি। আমাকে ভীষণ আদরে রাখা হত। ব্রাউনি, ফল, ক্রিমে ভরিয়ে রাখা হত।”
তবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে এর বাইরেও দরকার আরও অনেক কিছু। যাই হয়তো মিসিং ছিল তাঁদের সম্পর্কে। ফল স্বরূপ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। এষা জানিয়েছেন দ্বিতীয় কন্যা জন্মানোর পর থেকেই তাঁর স্বামী ভরত তখতানি মনে করতে থাকেন এষা তাঁকে সময় দিচ্ছেন না। সেই কারণে তলানিতে আসে সম্পর্ক। এক সময় তাঁরা এগিয়ে যায় ভাঙনের দিকে। যদিও গুঞ্জন বলছে এষার সঙ্গে বিচ্ছেদের আগেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ভরত। আপাতত মা হেমা মালিনীর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে আছেন এষা দেওল।