২ ঘণ্টার মধ্যে কিশোর কুমার রেডিও-তে নিষিদ্ধ, কী দোষে সরকারের রোষানলে এই কিংবদন্তি?
গানের জগতে সে যেন স্বর্ণযুগ। আর সেই গায়কই নাকি নিষিদ্ধ! কি? শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ঘটনা বিস্তারে জানিয়েছিলেন খোদ গায়কের পুত্র অমিতা কুমার।

কিশোর কুমার, সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি স্টার। যাঁর কণ্ঠস্বরে মুগ্ধ গোটা দেশ। প্রতিটা গানই যেন তাঁর কণ্ঠে নতুন প্রাণ পায়। গানের জগতে সে যেন স্বর্ণযুগ। আর সেই গায়কই নাকি নিষিদ্ধ! কি? শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ঘটনা বিস্তারে জানিয়েছিলেন খোদ গায়কের পুত্র অমিতা কুমার। বলিউডের জনপ্রিয় টক শো দ্য কপিল শর্মা-তে এসে সবটা খোলসা করেছিলেন অমিত কুমার।
সাল ১৯৭৫। কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে AIR (অল ইন্ডিয়া রেডিও)। এই ঘটনার সত্যতা জানতে কপিল শর্মা প্রশ্ন করেন অমিত কুমারকে। ‘দ্য কপিল শর্মা শো’য়ে বসে অমিত কুমার বলেন, “১৯৭৫ সালে যখন জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হল, তখন বাবা প্লে ব্যাক গায়ক হিসেবে শীর্ষে। তিনি রাজত্ব করছেন। তখন দিল্লি থেকে ফোনটা এসেছিল। মন্ত্রালয় থেকে কেউ একজন ফোন করেছিলেন। বাবা ফোন ধরতেই তিনি বললেন– কিশোরদা, আমরা আপনাকে প্লেনের টিকিট পাঠাচ্ছি, আপনি পরশুই চলে আসুন। বাবা শুনে প্রশ্ন করেন– আপনি কে বলছেন? উনি ওনার পরিচয় দেন। বাবা বলেন– ঠিক আছে, আপনি কোনও প্রতিনিধিকে পাঠান। যাঁর সঙ্গে আমি কথা বলব। তারপর আমি নিশ্চয়ই যাব। এভাবে আমি আসতে পারব না। ভগবানও যদি আমায় বলেন, ‘চলে এসো’, আমি যাব না।”
অমিত কুমার বলে চলেন, “ব্যস, যিনি অফিসার ছিলেন, তিনি রেগে গেলেন। রেগে গিয়ে বললেন– আপনি এভাবে কথা বলছেন, আমরা আপনাকে নিষিদ্ধ করে দেব। বাবা বলেছিলেন– ঠিক আছে, করে দিন । এমনিতেই আমি খুব ক্লান্ত। আমার কাছে পয়সা আছে। আমি এখন ঘুরতে চাই। ফোন কেটে দেন বাবা। ২ ঘণ্টার মধ্যে বাবাকে ব্যান করা হয়।”
