মোটেও চাইতেন না মেয়ে মুনমুন এ কাজ করুক, কোন শর্ত চাপিয়েছিলেন সুচিত্রা?
চার পাঁচ জনের একটি ছোট্ট বন্ধুদের গ্রুপ ছিল। তাঁদের সঙ্গেই স্কুল কলেজে যাতায়াত করতেন তিনি। এমনটাও হয়েছে যাদবপুর থেকে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড পর্যন্ত হেঁটেই বাড়িতে ফিরতেন মুনমুন সেন।

মুনমুন সেন, টলিউডের অন্যতম স্টারকিড। তিনি সুচিত্রা সেনের মেয়ে বলে কথা। ছোট থেকেই প্রত্যেকের মনে তাঁকে নিয়ে কৌতুহলের পারদ ছিল তুঙ্গে। যদিও শৈশবটা কেটেছে বোর্ডিং স্কুলে, বিদেশের মাটিতে। একটা সময় পর ফিরে আসা ভারতের বুকে। যদিও সুচিত্রা সেন বরাবরই চাইতেন তাঁর মেয়েকে লাইম লাইট থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে। আর পাঁচটা মেয়ের মতোই বড় করতে। দূরদর্শনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুনমুন সেন জানিয়েছিলেন, তাঁর মা তাঁকে সব সময় উপদেশ দিতেন ‘সবকিছুর অভ্যাস করে রাখো’। টলি পাড়ার ডাকসাইটে অভিনেত্রী সূচিত্রা সেনের কন্যা বলেই যে সে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ি থেকে নামবে উঠবে, পাঁচ জনের সঙ্গে মিশবে না এমনটা নয়। বরং মুনমুন সেন ট্রামে বাসে চড়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করতেন।
চার পাঁচ জনের একটি ছোট্ট বন্ধুদের গ্রুপ ছিল। তাঁদের সঙ্গেই স্কুল কলেজে যাতায়াত করতেন তিনি। এমনটাও হয়েছে যাদবপুর থেকে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড পর্যন্ত হেঁটেই বাড়িতে ফিরতেন মুনমুন সেন। মা সুচিত্রা কোনও কিছুতেই বাধা দেননি, যেমন ইচ্ছে পোশাক পরা যেত, যা ইচ্ছে তাই শেখা যেত প্রতিটা ক্ষেত্রেই সুচিত্রা সেন মুনমুন সেনকে উৎসাহ দিয়েছেন। কোনওদিন কোনও নির্দিষ্ট নিয়মের ঘেরাটোপে আটকে রাখেনি মেয়ের বেড়ে ওঠা।
ছোট থেকেই ঘুরতে ভীষণ পছন্দ করতেন মুনমুন সেন, যদিও একটা সময়ের পর কাজে সূত্রেই দেশ-বিদেশে যাওয়ার সুযোগ হতো, কিন্তু ঘোরা হতো না বলেই আক্ষেপ করেন তিনি। কাজ শেষ হলেই ফিরে আসতে হতো। শিলং-এ তাঁকে মাঝে মধ্যে যেতে দেখা যেত। কারণ সেখানে তাঁর এক বন্ধু ছিলেন। এছা়ড়া তাঁর গোটা পৃথিবী ঘুরে দেখার ইচ্ছে রয়েছে বলেই জানিয়েছিলেন বারবার। যদিও কাজের ব্যস্ততাতেই কেটে গিয়েছে একটা দীর্ঘ সময়।
