Heart Attack at Young Age: ৫০ পেরোনোর আগেই হার্ট অ্যাটাক? এই ৩ বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছে না তো?
Heart Problem: আজকাল ৪০ পেরোনোর আগেই মানুষ হার্টের সমস্যার শিকার হচ্ছে। ৫০-এ হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর প্রায় ১৭.৯ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এর মধ্যে কম বয়সিরাও রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইলই কম বয়সে শরীরে একাধিক রোগ ডেকে আনছে।

কয়েক দশক আগে পর্যন্ত, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যেই হার্টের সমস্যা দেখা দিত। যে কারণে মানুষের মধ্যে ধারণাও তৈরি হয়ে গিয়েছে, যে বুড়ো বয়সেই হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হয়। এটা যে ধারণা মাত্র তা এখন হারে হারে টের পাচ্ছে মানুষ। আজকাল ৪০ পেরোনোর আগেই মানুষ হার্টের সমস্যার শিকার হচ্ছে। ৫০-এ হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর প্রায় ১৭.৯ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এর মধ্যে কম বয়সিরাও রয়েছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইলই কম বয়সে শরীরে একাধিক রোগ ডেকে আনছে। অস্বাস্থ্যকর ডায়েট থেকে শুরু করে শরীরচর্চা না করা, মদ্যপান ও ধূমপানের মতো বিষয়গুলো হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাড়াচ্ছে রক্তচাপ, রক্তে জমছে খারাপ কোলেস্টেরল, দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিস, ওবেসিটি। এসব ক্রনিক অসুখই পরবর্তী সময়ে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি ডেনে আনে।
হার্ট অ্যাটাকের তিন প্রধান কারণ
অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল ও ডায়েট: কম বয়সিদের মধ্যে হার্টের সমস্যা পিছনে বিশেষভাবে দায়ী লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস। শরীরচর্চা না করা, বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক, রাতে দেরি করে ঘুমানো—এগুলোই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। হার্টের সমস্যা এড়ানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, কায়িক পরিশ্রম করা, মদ্যপান ও ধূমপান থেকে দূরে থাকার মতো কাজগুলো করতে হবে।
মানসিক চাপ কমানো: স্ট্রেস হার্টের সমস্যা ডেকে আনার অন্যতম কারণ। অত্যধিক কাজের চাপ, মানসিক চাপ, অবসাদ, উদ্বেগ রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে। ক্রনিক হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে মানসিক চাপ। হার্টের সমস্যা এড়াতে গেলে মানসিক চাপ কমাতে হবে।
জেনেটিক: অনেকেরই পরিবারের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই বিষয়টা এড়িয়ে যান। বাবা-মায়ের খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের কথা ভুলে গেলেই মুশকিল। যদি বাবা বা মা কেউ হৃদরোগ বা লাইফস্টাইলে ডিজিজে আক্রান হন, তাহলে আপনিও নির্দিষ্ট সময় অন্তর হেলথ চেকআপ করান। সময়মতো রোগ ধরা পড়লে গুরুতর অসুস্থতা এড়ানো যায়।
