Bowbazar Lynching Case: ‘শিক্ষিত, বুদ্ধিমান হয়েও ঘৃণ্য অপরাধ’, লজ্জায় মুখ ঢাকতে হচ্ছে গণধোলাইকাণ্ডে ধৃত ছাত্রদের

Udayan Hostel: এদিন অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হলে অভিযুক্তদের আইনজীবী পড়ুয়াদের জামিনের জন্য আবেদন জানান। অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী। দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক হোস্টেলের অভিযুক্ত ১৪ জন আবাসিকের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Bowbazar Lynching Case: 'শিক্ষিত, বুদ্ধিমান হয়েও ঘৃণ্য অপরাধ', লজ্জায় মুখ ঢাকতে হচ্ছে গণধোলাইকাণ্ডে ধৃত ছাত্রদের
উদয়ন হোস্টলের ঘটনায় ধৃতদের আদালতে পেশImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2024 | 5:07 PM

কলকাতা: উদয়ন হোস্টেলে গণধোলাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ ধৃত ১৪ জন আবাসিককে শনিবার পেশ করা হয়েছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালতে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা, ৩৬৫ ধারায় অপহরণের মামলা ও ১২০বি ধারায় সম্মেলিত ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিন অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হলে অভিযুক্তদের আইনজীবী পড়ুয়াদের জামিনের জন্য আবেদন জানান। অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক হোস্টেলের অভিযুক্ত ১৪ জন আবাসিকের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিন আদালত চত্বর থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় মুখ ঢেকে পুলিশের গাড়িতে ওঠেন অভিযুক্তরা।

অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে যুক্তি সাজান, ‘এরা সকলেই স্কলার স্টুডেন্ট। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় , কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালের ছাত্র আছে। খুন করার কোনও মানসিকতা ছিল না। এদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে জামিন দেওয়া হোক।’ তিনি আদালতে আরও জানান, ‘মূল অভিযুক্ত কে? কারা মারধর করেছে? সেই বিষয়ে অভিযোগে কিছুই স্পষ্ট উল্লেখ নেই। সন্দেহের জায়গা থেকেই এদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

অন্যদিকে সরকারি আইনজীবী অভিযুক্তদের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘এরা সকলেই ছাত্র। শিক্ষিত। বুদ্ধিমান। কিন্তু নিজেদের প্রতিভা দেশ গঠনের কাজে ব্যবহার করা উচিত ছিল। তা না করে এরা ঘৃণ্য অপরাধ করেছে। মিলিতভাবে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। এটা একটা মারাত্মক অভিযোগ।’ ধৃতদের প্রত্যেকের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী।

সরকারি আইনজীবী আদালতে আরও জানান, ‘আক্রান্ত ব্যক্তি দোকানের মালিককে ফোন করেছিলেন, টাকা নিয়ে আসার জন্য বলেছিলেন। মালিক সেই কথা পুলিশকে জানিয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর গেট বন্ধ ছিল। নৃশংসভাবে মারধর করা হয়েছে।’ ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে তাঁর যুক্তি, আরও অনেকে পালিয়ে গিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদেরও নাগাল পাওয়া দরকার। সেই কারণে এদের সকলকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।