Uric Acid Diet: রোজ সকালে এই ৪ খাবার খেলেই মুক্তি মিলবে গাউটের ব্যথা থেকে, কমবে ইউরিক অ্যাসিডও
Food for Gout: ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই পায়ের বুড়ো ব্যথা, গোড়ালিতে মারাত্মক যন্ত্রণা, হাঁটুতে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। একে চিকিৎসার পরিভাষায় গাউট বলে। এই ইউরিক অ্যাসিডের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সচেতন না হলে গাউটের সমস্যা বাড়ে। তার সঙ্গে চাপ পড়ে কিডনির উপর।
বয়স ৩০ পেরোয়নি মানে আপনি যে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগবেন না, এমন নয়। যে কোনও বয়সেই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে পারে। যে সব ব্যক্তির ডায়েটে অত্যধিক প্রোটিন থাকে, তাঁদের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া খুব কমন। আর ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই পায়ের বুড়ো ব্যথা, গোড়ালিতে মারাত্মক যন্ত্রণা, হাঁটুতে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। একে চিকিৎসার পরিভাষায় গাউট বলে। এই ইউরিক অ্যাসিডের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সচেতন না হলে গাউটের সমস্যা বাড়ে। তার সঙ্গে চাপ পড়ে কিডনির উপর। এই অবস্থায় শুধু ওষুধ খেলে চলবে না। কয়েকটা খাবার রোজ খেতে হবে।
কলা- রোজ সকালে একটা করে কলা খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ে চিন্তা থাকবে না। কলার মধ্যে ভরপুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ফাইবার রয়েছে। এই দুটো উপাদানই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে বশে রাখতে সাহায্য করে। কমায় গাউটের সমস্যা।
আপেল- ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই আপেল খান। আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে, যা রক্তে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শোষণে সাহায্য করে। এছাড়া ম্যালিক অ্যাসিড পাওয়া যায় এই ফলের মধ্যে। এই উপাদানও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সহায়ক।
এই খবরটিও পড়ুন
হলুদ- গাউট ও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই হলুদ খান। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন যৌগ দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি গাউটের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়া ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে হলুদ। রোজ সকালে এক টুকরো করে কাঁচা হলুদ খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পাশাপাশি একাধিক শারীরিক সমস্যা কমাতে পারবেন।
আদা- ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে গাউটের ব্যথা এতটাই প্রবল হয় যে, মাটিতে পা ফেলা যায় না। এই অবস্থায় কাজে আসতে পারে আদা। আদা দিয়ে চা খান বা রান্নায় আদা দিন। আদার মধ্যে প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। প্রয়োজনে আদা থেঁতো করে, এর রস ব্যথা স্থানে লাগাতে পারেন। ৩০ মিনিট পরেই দেখবেন ব্যথা কমেছে।