Weight Loss Fruits: কিউই বা ড্রাগন ফ্রুট নয়, সস্তার এই গ্রামীন ৫ ফলেই পেটের মেদ গলবে মোমের মতো!
Belly Fat Loss: ডায়েট মানেই যে দামি সুপারফুড খেতে হবে ডায়াটেশিয়ানরা কিন্তু এমনটা একেবারেই বলছেন না। বরং তাঁরা সব সময় জোর দিচ্ছেন দেশি খাবারেই
রোজকারের জীবনে কাজের চাপের চেয়েও জাঁতাকলের মত চেপে বসেছে একাধিক শারীরিক সমস্যা। তার মধ্যে একেবারে উপরের দিকে রয়েছে ওজন বেড়ে যাওয়া। বাড়িতে বাড়িতে খুব সাধারণ সমস্যা হল এই ওজন বেড়ে যাওয়া। বাড়তি ওজনের নেপথ্যে একাধিক কারণ থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড খাওয়া, কোনও রকম শারীরিক পরিশ্রম না করা আর একটানা বসে কাজ করার ফলেই আসছে এই ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা। বাড়তি ওজনের জন্য অনেকেই মানসিক সমস্যাতেও ভোগেন। কারণ একটাই, বডি শেমিং। আর এই বডি শেমিং-এর হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটান জিমে। কিন্তু হাতের সামনে সঠিক ফলাফল পাওয়া য়াচ্ছে না।
বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে প্রথমেই যেমন রাশ টানতে হবে জিভে তেমনই কিন্তু রোজ নিয়ম মেনে শরীরচর্চাও করতে হবে। ডায়েট মানেই যে দামি সুপারফুড খেতে হবে ডায়াটেশিয়ানরা কিন্তু এমনটা একেবারেই বলছেন না। বরং তাঁরা সব সময় জোর দিচ্ছেন দেশি খাবারেই। যে খাবার খেয়ে ছোট থেকে আমাদের দিদিমা-ঠাকুমারা বড় হয়েছেন বরাবর সেই খাবারই খেতে বলেন তাঁরা। আর সেই তালিকায় থাকা সেরা ৫ ফলের হদিশ রইল আরনার জন্য। খেতে পারলে উপকার পাবেনই।
অ্যাপ্রিকট- এই ফল দেখতে খানিকটা ছোট আপেলের মতো। স্বাদ মিশ্র প্রকৃতির। অর্থাৎ টক আর মিষ্টি দুই থাকে। এই ফলের অনেক গুণ। হজম করাতে সাহায্য করে, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করে, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ঠেকাতেও ভূমিকা রয়েছে এই ফলের। এছাড়াও এই ফলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা আমাদের হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে। এর ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছে চলে যায়। এর ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
কামরাঙা- কামরাঙার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিচামিন সি আর ভিটামিন বি। এছাড়াও এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। কামরাঙা হজমে সাহায্য করে সেই সঙ্গে স্ট্রোক আর হৃদরোগ ঠেকাতেও এই ফল সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রোজ এই ফল খেলে ওজনও কমে তাড়াতাড়ি। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলাতে এই ফলের জুড়ি মেলা ভার।
কুসুম- গ্রাম বাংলায় এই ফলের দারুণ কদর, কিন্তু এই ফলটি শহরের অনেকেই চেনেন না। ডায়াবেটিস ঠেকাতে এই ফল ভীষণ উপকারী। এছাড়াও এই কুসুমের মধ্যে থাকে ভিটামিন, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ফাইবার। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং চুল আর ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করে।
তালশাঁস- একমাত্র গরমেই পাওয়া যায় তালশাঁস। তালশাঁস স্বাদে দারুণ। সেই সঙ্গে এই ফলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ খনিজ, ভিটামিন আর শর্করা। তালশাঁসে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। আর তাই ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই তালশাঁস। যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, অ্যাজমা রয়েছে তাঁরাও নির্ভয়ে খেতে পারেন এই ফল। উপকার পাবেনই।
বেল- যেমন বলা হয় রোজ একটা করে আপেল খেলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই তেমনই গরমের দিনে রোজ যদি বেলের শরবত খান তাহলে একাধিক সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন। এছাড়াও বেলের মধ্যে থাকে ফাইবার ভিটামিন সি। যা আমাদের অন্ত্র ভাল রাখে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।