AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রাত ২টো বাজলেও চোখের পাতায় ঘুম আসে না? সারাদিন জুড়ে এই ৬ কাজ করলেই দূর হবে অনিদ্রা

Insomnia-Sleep Problem: ঘুম না আসার সমস্যা, ঠিকমতো ঘুম না হওয়া কিংবা কম ঘুম হওয়া—এগুলো ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, গ্যাস্ট্রিক, আর্থ্রা‌রাইটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ ডেকে আনে। এমনকি বাড়ে ডিপ্রেশন, অ্যানজাইটির মতো মানসিক রোগও। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে রাতে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম জরুরি।

রাত ২টো বাজলেও চোখের পাতায় ঘুম আসে না? সারাদিন জুড়ে এই ৬ কাজ করলেই দূর হবে অনিদ্রা
| Updated on: Jan 29, 2024 | 10:42 AM
Share

রাতে কত ঘণ্টা ঘুমান? এই প্রশ্নের উত্তর কারও ৫-৬ হয় আবার কারও ৩-৪ ঘণ্টাও হয়। খুব কম মানুষই রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। এমনকি ৬ ঘণ্টা ঘুমালেও ঘুম খুব একটা গাঢ় হয় না। বারবার ঘুম ভেঙে যায়। অনেক সময় তাড়াতাড়ি খাওয়া-দাওয়া শেষ করে শুয়ে পড়লেও চোখের পাতায় ঘুম ধরতে ২টো বাজিয়ে দেয়। ঘুম না আসার সমস্যা, ঠিকমতো ঘুম না হওয়া কিংবা কম ঘুম হওয়া—এগুলো ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, গ্যাস্ট্রিক, আর্থ্রা‌রাইটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ ডেকে আনে। এমনকি বাড়ে ডিপ্রেশন, অ্যানজাইটির মতো মানসিক রোগও।

অনিদ্রা বা ইনসোমনিয়ার সমস্যাকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তাড়ানোর কোনও দরকার নেই। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে আপনি ঘুমের ওষুধের সাহায্য নিতে পারেন। কিন্তু সামগ্রিকভাবে অনিদ্রার সমস্যাকে প্রাকৃতিক উপায়েও দূর করা যায়। লাইফস্টাইলে ছোট-ছোট কিছু পরিবর্তন এনেই আপনি ঘুমকে গাঢ় করতে পারেন, ঘুমের মানকে উন্নত করতে পারেন। কীভাবে করবেন, রইল তার হদিস।

১) ঘুমের ক্ষেত্রে সঠিক খাওয়া-দাওয়া করা জরুরি। স্বাস্থ্যকর ডায়েট সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই তাজা ফল ও শাকসবজি বেশি করে খান। আর কার্ব‌স ও ফ্যাটের পরিমাণ কমান। প্রোবায়োটিক খাবার অনিদ্রার সমস্যা দূর করে। এর জন্য রোজ টক দই খেতে পারেন।

২) সন্ধের পর চা-কফি খাওয়া চলবে না। চা-কফির মতো পানীয়তে ক্যাফেইন নামের একটি যৌগ রয়েছে, যা দেহে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই চা-কফি খেলে সহজে ঘুম ধরবে না।

৩) সঠিক সময়ে ঘুমোতে যাওয়ার এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পাশাপাশি ঘুমোতে যাওয়ার আগে মোবাইল বা ল্যাপটপ ঘাঁটার অভ্যাস থেকে দূরে থাকুন। শুতে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ব্যবহার করা বন্ধ করুন। প্রয়োজনে বই পড়তে পারেন, ডায়েরি লিখতে পারেন।

৪) অনিদ্রার সমস্যা বাড়ে মানসিক চাপের কারণেও। মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে ঘুমের নিবিড় যোগ রয়েছে। তাই অত্যধিক মানসিক চাপ বাড়লে, উদ্বেগ-ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা থাকলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিন।

৫) সারাদিন শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকলে রাতে সহজে ঘুম ধরবে না। তাই শরীরচর্চা জরুরি। যোগাসন, প্রাণায়াম ও ধ্যান করলে ঘুমের সমস্যা দূর হতে পারে। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট যোগব্যায়াম করুন।

৬) ধূমপান ও মদ্যপান সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন। মদ্যপান করলে প্রাথমিকভাবে ঝিমুনিভাব আসে। কিন্তু এই অভ্যাসই পরবর্তীকালে ঘুমের সমস্যা ডেকে আনে।