Protein For Vegan: আপনি কি নিরামিষাশী? শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাবে যে সব খাবার
Diet For Vegan: স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ওজন ঝরাতে ভরসা রাখেন চিয়া বীজের উপর। তবে শুধু তাই নয়, প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজে লাগান এই বীজকে।
ডিম (Egg) একটি সুপারফুড। যাতে ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা শরীরকে শক্তিশালী করে। কিন্তু ডিম একটি আমিষ জাতীয় খাবার। তবে বার্ড ফ্লু-এর মতো সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই ডিম খান না। এছাড়াও অন্যদিকে নিরামিষাশীরা ডিম খেতে পারেন না। ফলে এমন কিছু দরকার যা তাঁদের শক্তি জোগাবে। জানেন কি এমন কিছু খাবার রয়েছে যা ডিমের চেয়ে বেশি প্রোটিন (Protein) দেয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই তালিকায় রয়েছে কোন-কোন খাবার।
ডিম বা মাংসে কত পুষ্টি রয়েছে?
আমেরিকান সরকারের ওয়েবসাইট (রেফ।)-এর মতে ১০০ গ্রাম ডিমে ১২.৬ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এছাড়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অনেক ভিটামিন ও মিনারেলও পাওয়া যায় ডিমে। এছাড়া প্রোটিনের জন্য, আপনি মুরগির মাংস খেতে পারেন, এটি ডিমের চেয়ে দ্বিগুণ প্রোটিন দেয় । ১০০ গ্রাম মুরগির মাংস খেলে ২৩.২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এর সঙ্গে ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়ামের মতো পুষ্টিও পাওয়া যায়। তবে ডিমই যে খেতে হবে এমনটা নয়। নিরামিষাশীদের প্রোটিন নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
শণের বীজ: ডিমের একটি ভাল পরিবর্ত হল শণের বীজ। কারণ, ১০০ গ্রাম শণের বীজ খেলে আপনি ১৮.৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। যা ডিমের চেয়ে অনেক বেশি। ইউএসডিএ (রেফ) অনুসারে ,এই শণের বীজ ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, বি ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাল একটি উৎস।
চিয়া বীজ: শণের বীজের মতো চিয়া বীজও শরীরকে শক্তিশালী করে। ১০০ গ্রাম চিয়া বীজে ১৬.৫ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়াও এই বীজে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, সোডিয়াম, ভিটামিন বি এবং ফ্যাটি অ্যাসিডও পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ওজন ঝরাতে ভরসা রাখেন চিয়া বীজের উপর। তবে শুধু তাই নয়, প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজে লাগান এই বীজকে।
টোফু: টোফু নিরামিষাশীদের জন্য একটি দুর্দান্ত প্রোটিন খাবার । ১০০ গ্রাম টোফুতে প্রায় ১৭.৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হল, এই পনিরের মতো খাবার থেকে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, আয়রনও পাওয়া সম্ভব, যা শরীরকে শক্তি জোগায়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।