Covid-19: ওমিক্রনের হালকা উপসর্গ কি দ্বিতীয়বার কোভিড সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ায়? জানুন…
কোভিড রুখতে টিকার কার্যকারিতা রয়েছে একথা বার বার বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে টিকা নিলেও মেনে চলতে হবে যাবতীয় কোভিড বিধি।
ওমিক্রনের সংক্রমণ যে ভাবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে একটু উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা। কিন্তু কোভিড নিয়ে আগে মানুষের যে ভয় ছিল তা কিন্তু এখন আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। এর কারণ একটাই। ওমিক্রনের রোগ-উপসর্গ আগের তুলনায় অনেকটাই হালকা। ওমিক্রনের উপসর্গ আর সাধারণ ফ্লু এর মধ্যে কিন্তু কোনও ফারাক নেই। নাক দিয়ে জল পড়া, সর্দি-কাশির সমস্যা, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা এসব সমস্যাই ছিল। কিছু জনের ক্ষেত্রে হজমে অসুবিধা, বমি বা খেতে না পারার মতো সমস্যাও কিন্তু দেখা গিয়েছে। তবে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়নি। কিংবা ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কথাও শোনাও যায়নি। আর তাই সকলেই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। হাসপাতালে ভর্তির মতো প্রয়োজনীয়তাও পড়েনি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার সংক্রমণ হালকা বলেই পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। এমনকী অনেকেই কিন্তু দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হয়েছেন। পুণরায় সংক্রমণের লক্ষণ হল এই সর্দি,কাশি, জ্বর, ক্লান্তির মত উপসর্গ আবার ফিরে ফিরে আসা।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফে জানানো হয়েছে, এবার অনেকেই লং কোভিডের সমস্যায় ভুগছেন। অর্থাৎ কোভিড থেকে সেরে উঠলেও দীর্ঘদিন পর্যন্ত কিন্তু থেকে যাচ্ছে সেই সমস্যা। কোভিড ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে সেরে ওঠার কিছুদিন পরই আবার সংক্রমিত হয়েছেন। তবে ব্যতিক্রমও কিন্তু আছে। সকলেই যে এই পুনরায় সংক্রমণের মুখে পড়ছেন তা কিন্তু একেবারেই নয়। আর তাই কোভিড থেকে সেরে উঠলেও যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে চলা কিন্তু একান্ত কর্তব্য।
এছাড়াও কোভিডের টিকারকরণের উপরেও বার বার জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কোভিডের টিকা নেওয়ার পরও কিন্তু অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, এই টিকার জন্যই কিন্তু এবার সংক্রমণ এবং রোগ লক্ষণ অনেকটা কম। কমেছে কোভিড মৃত্যুহারও। তবুও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণেই কিন্তু অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই কোভিডের দুটো ডোজ পেয়েছেন। আবার বুস্টার ডোজডও ইতিমধ্যেই অনেককে দেওয়া হয়েছে। কোভিড টিকার তিনটি ডোজ নেওয়ার পরও তাই অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এই পুনঃসংক্রমনের পেছনে কিন্তু অনেক রকম কারণ থাকতে পারে।
একেবারে রোভিড সংক্রমণের প্রথম দিকে একবার আক্রান্ত হলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ছিল মোটে ২০ শতাংশ। কিন্তু ডেল্টার সংক্রমণের সময় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪ %। আর ওমিক্রনের সংক্রমণের পর পুনরায় সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা সটান বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬ শতাংশে। তবে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার যে খুব সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এমনটা কিন্তু নয়। আগে বলা হয়েছিল কোভিড টিকা নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে ৬ মাস পর্যন্ত। কিছু জন আবার বলেছিলেন ১০ মাস পর্যন্তও তা থাকতে পারে। কিন্তু নিশ্চিত ভাবে কখনই কিছু বলা হয়নি। রোগের ঝুঁকি নিশ্চিন্ত ভাবে টিকাকরণেই কমানো যাবে এমনটা কিন্তু কখনই বলা হয়নি। এই বিষয়ে চলছে গবেষণা। সম্প্রতি চাহিদা বেড়েছে বুস্টার ডোজের। তবুও যে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে জোরদার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে তা কিন্তু প্রমাণিত।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Tips For better Slip: ভালবাসার মানুষকে পাশে নিয়ে ঘুমোলে মন ভাল থাকে, শরীর থাকে সুস্থ ! বলছে সমীক্ষা