আপনি কি ইন্ট্রোভার্ট? কম কথা বলেন? নিজের কথা কাউকে বুঝিয়ে বলতে সমস্যা হয় আপনার? সে কারণেই কি বন্ধু সংখ্যা কম (health care)? আপনার এই সমস্যা থাকলে সহজ কয়েকটি বিষয় মনে রাখলে হয়তো সমাধান পাবেন। একবার চেষ্টা করেই দেখুন।
১) কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি
আপনি এমনিতেই চুপচাপ। অর্থাৎ নিজে থেকে সকলের সঙ্গে হয়তো কথা বলতে এগিয়ে যেতে পারেন না। আপনার বন্ধু সংখ্যা কম হওয়ার সেটা একটা কারণ হতেই পারে। নাই বা হল আপনার অনেক বন্ধু। কয়েকজন ভাল বন্ধু থাকলেই দেখবেন, জীবনটা অনেক সুন্দর। অর্থাৎ কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি ফ্রেন্ডশিপের উপর জোর দিন।
আরও পড়ুন, মর্নিং পার্সন হতে চান? ঠিক কী কী করতে হবে আপনাকে?
২) পছন্দের মিল
বন্ধু অর্থাৎ যার সঙ্গে আপনার ওয়েভ লেন্থ মিলবে। এক্ষেত্রে আপনার সখের কাজগুলো কাজে লাগতে পারে। ধরুন, বই পড়তে, গান শুনতে বা সিনেমা দেখতে আপনার ভাল লাগে। আপনার মতোই যিনি বই পড়তে ভালবাসেন, তাঁর সঙ্গে হয়তো লাইব্রেরিতে আলাপ হল। যিনি সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন, তাঁর সঙ্গে হয়তো সিনেমা নিয়ে কথা বলতে বলতেই একদিন সম্পর্কটা বন্ধুত্বের নাম নিল।
৩) ব্যক্তিত্ব
বন্ধুত্ব করার জন্য নিজেকে বদলে ফেলার কোনও মানে নেই। আপনি যেমন, আপনার প্রকৃত বন্ধু আপনাকে ঠিক তেমন ভাবেই গ্রহণ করবেন। তাই নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কোনও কম্প্রোমাইজ নয়। ধরা যাক আপনি খুব ভাল শ্রোতা, অথবা আবেগপ্রবণ কল্পনাপ্রিয়, অথবা কৌতূহলী, এই বৈশিষ্ট্যগুলো বদলে ফেলার কোনও প্রয়োজন নেই। আপনি কম কথা বলেন মানে এমন নয় যে নিজেকে বদলে বন্ধু খুঁজতে হবে।
আরও পড়ুন, কোন সময় শরীরচর্চা ক্ষতিকর? আপনারও একই সমস্যা হচ্ছে কি?
৪) চারপাশে নজর
আপনার চারপাশে কী কী হচ্ছে, সে বিষয়ে একটু ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনার প্রতিবেশী হয়তো খুব বাগান করতে পছন্দ করেন, আপনি জানেন না। তাঁর বাড়ির বাগানের দিকে কোনওদিন ফিরে তাকাননি। কমপ্লেক্সের পিকনিকে সকলে খুব মজা করেন। অথচ আপনি যান না। এগুলো থেকে এবার বেরিয়ে আসতে হবে। চারপাশের খোঁজ রাখলে দেখবেন, তার থেকেই বন্ধুত্বের ঠিকানাও পাবেন।
৫) ধৈর্য্য বাড়াতে হবে
আপনি এমনিতেই চুপচাপ। হয়তো নিজের মতো থাকতে পছন্দ করেন। কোনও কিছুতে ধৈর্য্যচ্যুতি হলে সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে চান। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় সমস্যার মুখোমুখি হতে ভয় পান। সে কারণেই সমাধান অধরা থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে ধৈর্য্য বাড়াতে হবে। হয়তো ধৈর্য্য ধরে কারও সমস্যার সমাধান বের করলে তিনিই আপনার বন্ধু হয়ে উঠবেন।
আরও পড়ুন, দুপুরের ঘুমে আদৌ কি কোনও শারীরিক উপকার হয়?