দুপুরের ঘুমে আদৌ কি কোনও শারীরিক উপকার হয়?
দুপুরের ঘুমের অভ্যেসে বদল নিয়ে আসার দরকার নেই। কিন্তু সময় বেঁধে দিন। না হলেই বিপদ!
শেষ দুপুরে দিকে হালকা করে গড়িয়ে নেওয়া হয়তো আপনার বহু দিনের অভ্যেস। অফিসে কাজের ফাঁকে হালকা ন্যাপ (health care) নিয়ে নেন কখনও কখনও। কিন্তু এতে আদৌ কি কোনও শারীরিক উপকার হয়? নাকি ঘুমের পরও এনার্জি আরও তলানিতে এসে ঠেকে?
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বয়স যদি ৬০-এর উপরে হয়, অর্থাৎ আপনি যদি সিনিয়র সিটিজেন হন, তাহলে দুপুরের ঘুম আপনার জন্য আবশ্যক। Journal General Psychiatry-এ প্রকাশিত এই গবেষণা পত্রে জিভো হেলথ-এর ওয়েলবিয়িং ডিরেক্টর দেবিনা রামকিষণ বলেন, “আপনি কতটা শিখতে পারবেন, সেই ক্ষমতা নির্ভর করে ঘুমের উপর। মস্তিষ্ক যখন প্রচুর তথ্যের ভারে ভারাক্রান্ত, তখন ঘুমের প্রয়োজন। এতে অপ্রয়োজনীয় তথ্য বেরিয়ে গিয়ে ফের প্রয়োজনীয় তথ্য মস্তিষ্কে জমা হতে পারে।”
আরও পড়ুন, মর্নিং পার্সন হতে চান? ঠিক কী কী করতে হবে আপনাকে?
ওই গবেষণা পত্রেই রয়েছে স্লিপ কোচ ক্যাথরিন হলের বক্তব্য। তিনি জানিয়েছেন, দুপুর একটা থেকে তিনটের মধ্যে ন্যাপ নেওয়া আদর্শ। ১০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলতে পারে দুপুরের ঘুম। “মুড, এনার্জি, প্রোডাক্টিভিটি বাড়ায় আফটারনুন ন্যাপ। একইসঙ্গে উদ্বেগ এবং মানসিক অস্থিরতা কমায়,” বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, শরীরচর্চার সময় এই সব ভুল আপনিও করছেন কি?
অন্যদিকে স্লিপ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অভিনব সিংয়ের মতে, “দুপুরের ন্যাপ থেকে যে কোনও বয়সের মানুষ উপকার পেতে পারেন। মুড ভাল থাকবে। উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা দূর হবে। তবে ৩০ মিনিটের বেশি সময় ঘুমোলে কোনো উপকার নেই।” দুপুরের ঘুমের অভ্যেসে বদল নিয়ে আসার দরকার নেই। কিন্তু সময় বেঁধে দিন। না হলেই বিপদ!