শরীরে ছিল না রাজরক্ত, চরম আঘাত পেতে হয়েছিল লতাকে
Lata Mangeshkar: ছোট বয়স থেকেই সংসারের যাবতীয় দায়দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। তবে সিঁথিতে নাকি সিঁদুরও পরতে দেখা গিয়েছিল লতাকে। অবিবাহিত লতা কার জন্য সিঁদুর তুলেছিলেন মাথায়, জানেন?
সরস্বতীর আশীর্বাদের হাত ছিল তাঁর মাথায়। নির্দ্বিধায় তাঁকে বলা যায় সরস্বতীর বরকন্যাও। সেই লতা মঙ্গেশকর কখনও বিয়ে করেননি। আজীবন অবিবাহিতই ছিলেন। ছোট বয়স থেকেই সংসারের যাবতীয় দায়দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। তবে সিঁথিতে নাকি সিঁদুরও পরতে দেখা গিয়েছিল লতাকে। অবিবাহিত লতা কার জন্য সিঁদুর তুলেছিলেন মাথায়, জানেন?
এমনটা নাকি শোনা যায়, ক্রিকেট জগতের একজনকে মন দিয়েছিলেন লতা। সেই সময়কার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ছিলেন রাজ সিং দুঙ্গারপুরের। তাঁর সঙ্গেই নাকি প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় লতার। নানা ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতেও বসে থাকতে দেখা গিয়েছে লতাকে। সেটা নাকি রাজ সিং দুঙ্গারপুরের জন্যই। কীভাবে দুঙ্গারপুরের সঙ্গে আলাপ হয় লতার?
লতার দাদা হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর ছিলেন রাজ সিংয়ের খুব বন্ধু। দাদার সূত্রেই দুঙ্গারপুরের সঙ্গে আলাপ হয় লতার। ক্রমেই সেই সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। কিন্তু তা বিয়ের মণ্ডপ পর্যন্ত এগোয়নি। কারণ নাকি ছিলেন দুঙ্গারপুরের বাবা। তাঁরা ছিলেন রাজপরিবারের। লতার শরীরে ছিল না রাজরক্ত। ফলে, বিয়েতে বাধা আসে। কিন্তু মনে থেকে কোনওদিনই দুঙ্গারপুরকে মুছে ফেলতে পারেননি লতা? তাঁর জন্যই নাকি সিঁথি রাঙিয়েছিলেন। তবে লতা কারণ হিসেবে বলেছিলেন, “আমার সিঁদুর পরা সঙ্গীতের জন্য। সঙ্গীতকে ভালবেসেই আমি সিঁদুর পরি।”