Jaggery Tea Benefits: ঘন ঘন চা খাওয়ার অভ্যেস আছে? স্বাস্থ্যকর ফলাফল পেতে চিনির বদলে এই বস্তু দিয়ে দেখুন…

একটি পাত্রে জল দিয়ে তা ফুটিয়ে নিন। তার পর তাতে গুড় মেশান। এর পাশাপাশি এতে গোলমরিচ, লবঙ্গ, এলাচ, আদা ও তুলসি পাতা দিন। কিছুক্ষণ ফুটিয়ে এতে চা পাতা মিশিয়ে দিন। তার পর ছেকে নিন। দুধ ছাড়া এই চা পান করা উচিত।

Jaggery Tea Benefits: ঘন ঘন চা খাওয়ার অভ্যেস আছে? স্বাস্থ্যকর ফলাফল পেতে চিনির বদলে এই বস্তু দিয়ে দেখুন...

| Edited By: শোভন রায়

Nov 28, 2021 | 10:16 AM

সকালে খবরের কাগজ পড়ার সময়ই হোক কিংবা ব্রেকফাস্টের টেবিলে, চা ছাড়া দিনের শুরুটাই যেন হতে চায় না। কেউ কেউ আবার দিনে চার থেকে পাঁচ কাপ চা খেয়ে থাকেন। শীতকালে যদিও এই সংখ্যাটাও বেড়ে যায়। এক একদিন তো আবার ব্যাপারটা ডবল ডিজিটেও পৌঁছে যায় অনেকেরই। কিন্তু এত বেশি পরিমাণে চা খাওয়াটা অস্বাস্থ্যকর। ক্যাফিন ও চিনির কারণে অধিক পরিমাণে চা পান করলে শরীরের নানা ক্ষতি হতে পারে।

তবে চায়ে চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করলে তা অস্বাস্থ্যকর তো হয় না, বরং কিছুটা পরিমাণে এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও থাকে। গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বি, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, সুক্রোজ, গ্লুকোজ, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও মিনারেল থাকে। তাই গুড়ের চা পান করলে হাড় মজবুত হয়। আবার গুড়ের চায়ে কিছু আয়ুর্বেদিক উপাদান মেশালে তা আরও উপকারী হয়।

১. গুড়ের চা পান করলে পাচন তন্ত্র সুস্থ থাকে। পাশাপাশি বুক জ্বালার সমস্যাও কমে। উল্লেখ্য গুড়ে কৃত্রিম সুইটনার কমই থাকে। চিনির তুলনায় এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, তাই শীতকালে গুড়ের চা পান করা উপকারী।

২. গুড় গরম প্রকৃতির হয়। এটি শরীর যেমন গরম রাখে, তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। শীতের সময় গুড়ের চা পান করলে সর্দি ও কফ থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়। গুড়ের চায়ে আদা, গোলমরিচ ও তুলসি পাতা দিয়ে পান করুন।

৩. বার বার ক্লান্তি অনুভব করলে গুড়ের চা পান করুন, এর ফলে ক্লান্তি দূর হবে। এই চা শক্তি প্রদান করে এবং নানা অভাব দূর করে।

৪. গুড়ের চা ভালো ডিটক্সের কাজ করে। যে ব্যক্তিদের গলা ও ফুসফুসে বার বার সংক্রমণ হয় তারা এই চা পান করলে উপকার পেতে পারেন।

৫. মাইগ্রেন বা মাথা ব্যথার সমস্যা থাকলে গরুর দুধে দিয়ে গুড়ের চা মিশিয়ে পান করুন, তা হলে স্বস্তি পাবেন।

৬. রক্তের অভাব থাকলে গুড় খাওয়া বা এর চা বানিয়ে পান করলে এই অভাব দূর হয়। গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা রক্তের অভাব দূর কর

৭. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে গুড়ের চা।

৮. পিরিয়ডের সময় ব্যথা হলে গুড়ের চা পান করতে পারেন। এর ফলে ব্যথা কম হয়।

৯. পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে গুড়ের চা। খাবার পর এক টুকতো গুড় খাওয়া উচিত।

১০. গুড়ের চা ফ্যাট কম করতে সাহায্য করে। এটি ওজন কম করে। চিনির তুলনায় গুড়ে ক্যালোরি কম থাকে, এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

১১. গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস থাকে। এ ছাড়াও গুড়ের চা পান করলে হাড় মজবুত হয়। প্রতিদিন গুড় খেলে খনিজের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে রাখা যাগুড়ের চা বানানোর পদ্ধতি।

আরও পড়ুন: Buttermilk: ওজন কমাতে প্রতিদিন সকালে খান দুধ দিয়ে তৈরি এই সুস্বাদু পানীয়! এর উপকারিতা জানলে অবাক হবেন আপনিও

আরও পড়ুন: Natural Remedies For Flu: শীতের শুরুতে সর্দি কাশির সমস্যায় ভুগছেন? আদা পাউডার দিয়ে তৈরি এই কফিতেই মিলবে মুক্তি!

আরও পড়ুন: Ring Worm: দাদের সমস্যায় নাজেহাল হয়ে উঠেছেন? এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো মেনে চললে দাদের নিরাময় সম্ভব…