রাস্তাঘাটে চলার সময় আমাদের চোখে প্রায়শই ছাতুর সরবত বিক্রেতাদের দেখতে পাই। তাদের দোকানে ভিড়ও থাকে বেশ। কাজের ফাঁকে এক গ্লাস ছাতু যেমন খিদে মেটায়, তেমনই সহজলভ্য। কিন্তু শরীরের ওপর কী প্রতিক্রিয়া ফেলে এই ছাতুর সরবত! দিনের শুরুতে যদি এক গ্লাস ছাতুর সরবত পান করা যায় তাহলে শরীর থাকে সুস্থ আর রোগমুক্ত।
তবে অবশ্যই চিনি ছাড়া পান করতে হবে ছাতুর সরবত। ছাতুর মধ্যে রয়েছে আয়রন, সোডিয়াম, ফাইবার, প্রোটিন এবং ম্যাগনেসিয়াম। আর ছাতুর সরবত তৈরি করার জন্য প্রয়োজন লেবু আর স্বাদমত নুন। অন্যদিকে লেবুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। সুতরাং এই তিনটি উপাদানের তৈরি সরবত শরীরে কী প্রভাব ফেলে চলুন জানা যাক।
হজমে সহায়তা করে ও ওজন কমায়- খালি পেটে ছাতুর সরবত পান করলে শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন পদার্থ বেরিয়ে যায়। নুন, আয়রন ও ফাইবারের সংমিশ্রণ হজমে সাহায্য করে। সহজেই পেট পরিষ্কার করে দেয় এবং মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। যার ফলে ওজনও কমে যায় সহজেই।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়- গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার জন্য ছাতুর সরবতে থাকা শর্করা ধীরে ধীরে রক্তে মেশে, যেখান থেকে ডায়বেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তার সঙ্গে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও ধীরে ধীরে কমে যায় এবং এই সব কারণে হার্টও সুস্থ থাকে।
শরীরকে রোগমুক্ত করে- গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ছাতুর সরবত পান করলে দেহের ভিতরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যে, তার প্রভাবে রক্তে উপস্থিত টক্সিক উপাদানে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শরীরে বৃদ্ধি পায়।
শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং শক্তি জোগায়- খালি পেটে এক গ্লাস ছাতুর সরবত পান করলে সারাটা দিন আপনি ফুরফুরে থাকতে পারেন। এটি আপনার মধ্যে শক্তির জোগান দেয় যার ফলে সারাদিনের কর্মেও আপনি এনার্জি পান। গরমের দিনেও শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এই পানীয়।
মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক- ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলারা শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এই সময় তাঁদের শরীরে বেশি করে ভিটামিন ও মিনারেলের প্রয়োজন হয়। এই সময় যদি ছাতুর সরবত পান করা যায় তাহলে ঋতুস্রাব চলাকালীন যে সব শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তা অনাহাসে প্রতিরোধ করা যায়।
আরও পড়ুন: এক গ্লাস হোয়াইট ওয়াইন আপনাকে রোগ মুক্ত রাখতে পারে! কীভাবে জানেন?