AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Health Tips: সুস্থ থাকতে খালি পেটে পান করুন তাজা গাজরের জ্যুস!

মূলত চোখের স্বাস্থ্যের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে গাজর। কিন্তু আপনি যদি খালি পেটে নিয়মিত গাজরের রস পান করেন, তাহলে সেরে যেতে পারে শরীরের অনেক রোগ। এই ডিটক্স ড্রিঙ্ক শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থকে বার করে দেয়, তার সঙ্গে শরীরের ওপর ফেলে একাধিক স্বাস্থ্যকর প্রভাব।

Health Tips: সুস্থ থাকতে খালি পেটে পান করুন তাজা গাজরের জ্যুস!
গাজরের জ্যুস
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2021 | 1:05 PM
Share

স্বাদে মিষ্টি হওয়ার জন্য আপনাদের মধ্যে অনেকেই কাঁচা গাজর খান। অনেকে স্যালাদ হিসাবে, আবার কেউ কেউ জ্যুস বানিয়ে পান করেন গাজরের রস। মূলত গাজরের মধ্যে রয়েছে একাধিক ভিটামিন মিনারেল, যে কারণে অনেকেই এই খাদ্যকে স্বাস্থ্য খাদ্যতালিকায় রাখেন। গাজরের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, কার্ব‌োহাইড্রেট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, সোডিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন ইত্যাদি।

মূলত চোখের স্বাস্থ্যের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে গাজর। কিন্তু আপনি যদি খালি পেটে নিয়মিত গাজরের রস পান করেন, তাহলে সেরে যেতে পারে শরীরের অনেক রোগ। এই ডিটক্স ড্রিঙ্ক শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থকে বার করে দেয়, তার সঙ্গে শরীরের ওপর ফেলে একাধিক স্বাস্থ্যকর প্রভাব।

১.  চোখকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে

শরীরে ভিটামিন এ এর অভাব থাকলে চোখের সমস্যা হয়। গাজরের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ শরীরে সেই চাহিদাকে পূরণ করে এবং চোখের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।

২. হার্টকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে

গাজরের মধ্যে উপস্থিত পেক্টিন নামক ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়ক। তার সঙ্গে শরীরে জোগান দেয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, খালি পেটে গাজরের জ্যুস পান করলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

৩. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে

গাজরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যালস রয়েছে, যা এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও রয়েছে বিটা ক্যারোটিন ও বিভিন্ন ধরনের ক্যারোটিনয়েড। এই সব উপাদান গুলি শরীরে ক্যান্সারের কোষকে বৃদ্ধি হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে এবং পেট, কোলন, প্রস্টেট, ফুসফুস ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

কাঁচা গাজরের জ্যুস শরীরের একাধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ নানান ধরনের সংক্রমণ থেকে শরীরকে প্রতিরোধ করে। তার সঙ্গে ভিটামিন সি যা শরীরে কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা শরীর এবং বিশেষত ত্বকের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। এই কোলাজেন বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।

৫. শরীরকে টক্সিন মুক্ত করতে

গাজরের মধ্যে থাকা গ্লুটাথিওন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিভারের সমস্যাকে প্রতিরোধ করে এবং এর ফলে লিভার সঠিক ভাবে তার কার্যকলাপ সম্পাদন করতে পারে। তাছাড়াও গাজরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড ও বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা লিভারের কার্যকলাপে সহায়তা করে এবং শরীরকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত রাখে।

৬. শরীরকে হাইড্রেট রাখে

শরীর যদি ডিহাইড্রেট হয়ে যায় তাহলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। তাজা গাজরে ৮৮% জল থাকে। তাই জলের পাশাপাশি এই ধরনের জ্যুসকেও খাদ্য তালিকায় রাখা খুব জরুরি। গর্ভবতী মহিলারাও গাজরের জ্যুস পান করতে পারেন। এমনকি লিউকোমিয়া রোগের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে গাজরের রস।

আরও পড়ুন: এক গ্লাস লেবুর জল দূর করতে পারে আপনার যাবতীয় শারীরিক অসুস্থতা!