Body Weight Loss Tips: ডায়েট ছাড়াই দেহের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব, মেনে চলুন এই টিপস
Weight Loss Tips: ওবেসিটির সমস্যা খুব সাধারণ হয়ে উঠছে। যার থেকে নানা অসুখ শরীরে বাসা বাঁধছে। তাই অনেকেই ওজন কমানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেন। বিভিন্ন ধরনের ডায়েট করেন এবং জিমে যান। বিশেষজ্ঞের মতে, আপনি কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করে এবং কিছু বিষয়ের যত্ন নিয়েই দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারেন। বলা যায়, ডায়েট না করেও ওজন কমাতে পারেন। তবে কিছু অভ্যাস অবশ্যই বদল করতে হবে এবং নিয়মিত পালন করতে হবে।
আজকাল অনেকেরই দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ। তার ফলে নিজেকে ফিট রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। এর উপর বেশি জাঙ্ক ফুড, তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার খাওয়ার ফলে দেহের ওজন বাড়ছে। ফলে ওবেসিটির সমস্যা খুব সাধারণ হয়ে উঠছে। যার থেকে নানা অসুখ শরীরে বাসা বাঁধছে। তাই অনেকেই ওজন কমানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেন। বিভিন্ন ধরনের ডায়েট করেন এবং জিমে যান। কিন্তু ওজন কমাতে কি আদৌ ডায়েট করা এবং জিমে যাওয়া দরকার?
বিশেষজ্ঞের মতে, আপনি কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করে এবং কিছু বিষয়ের যত্ন নিয়েই দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারেন। বলা যায়, ডায়েট না করেও ওজন কমাতে পারেন। তবে কিছু অভ্যাস অবশ্যই বদল করতে হবে এবং নিয়মিত পালন করতে হবে।
হাঁটা, সাঁতার- জিমে না গিয়ে ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হলো হাঁটাহাঁটি করা। প্রতিদিন সকালে হাঁটতে যান। শরীরের ক্ষমতা অনুযায়ী জোরে-জোরে হাঁটুন। সকালে সময় না পেলে রাতের খাবার খেয়ে ১৫ -২০ মিনিট ধীর গতিতে হাঁটুন। আর দু-বেলা হাঁটতে পারলে আরও ভাল। এছাড়া নিয়মিত সাঁতার করতে পারলেও ওজন কমে।
বাড়ির খাবার খান- আজকাল অনেকেই বাইরের জাঙ্ক ফুড বা ভাজা ও মশলাদার জিনিস খেতে পছন্দ করেন। তবে ঘরে রান্না করা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ফাইবার সমৃদ্ধ জিনিস খেলে আপনার পেট দীর্ঘ সময়ের জন্য ভরা থাকবে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এর পাশাপাশি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় টক দই ও স্যালাড রাখুন।
পর্যাপ্ত জল পান করুন- শরীর হাইড্রেটেড রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন। এর পাশাপাশি আপনি ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করে পান করতে পারেন। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে এবং পেট পরিষ্কার করবে। ফলে দেহের ওজন কমতেও সাহায্য করবে।
রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া ও ঘুম- দেহের ওজন কমাতে চাইলে সন্ধ্যা ৮টার আগে ডিনার করে নিন। তাহলে হাঁটার সময়ও পাবেন। এছাড়া সহজে খাবার হজম হবে। সেই সঙ্গে খাবার খেয়ে শুয়ে থাকার কারণে অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং অ্যাসপিসের মতো সমস্যায় পড়তে হতে পারে। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো ও পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। ঠিকমতো ঘুম না হলে বিপাকক্রিয়া ঠিক হবে না এবং তার প্রভাব দেহের ওজনের উপর পড়বে।
ব্যায়াম- ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার বিপাক প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে এবং অতিরিক্ত ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। জিমে না গিয়ে বাড়িতেই প্ল্যাঙ্ক, স্কোয়াট, জাম্পিং জ্যাক, পুশ-আপ-এর মতো নানা ব্যায়াম এবং যোগাসন করতে পারেন, যা ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এছাড়া সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা এবং নাচের মত কার্যকলাপ করতে পারেন।