Importance of Diet Amidst Corona: করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ জেনে নিন…

TV9 Bangla Digital | Edited By: শোভন রায়

Sep 27, 2021 | 3:02 PM

প্যান্ডেমিকে স্থায়ী অসুস্থতার অন্যতম কারণ হল অপুষ্টি। খাওয়াদাওয়া ঠিক মতো না করার জন্যই আমাদের মধ্যে অনেকের ক্ষেত্রেই করোনার সংক্রমণ জটিল আকার ধারণ করেছে।

Importance of Diet Amidst Corona: করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ জেনে নিন...

Follow Us

করোনায় মাস্ক পরা বা টিকা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো সবই সংক্রমণের হাত থেকে আমাদের সুরক্ষিত রাখে। কিন্তু, এসবের মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে আমরা লঘু করে দেখছি না তো? খাওয়া দাওয়া। একটা স্বাস্থ্যকর ডায়েট আমাদের করোনা সংক্রমণের হাত থেকে অনেকটাই সুরক্ষিত রাখতে পারে। অন্তত গবেষণা এমনটাই বলছে।

বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের গবেষকদের নেতৃত্বে একটা গবেষণা করা হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে যে যারা স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছে তাদের সংক্রমণের হার অন্যান্য মানুষের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ কম। যাঁরা স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছিলেন তাদের করোনার ভয়াবহ উপসর্গ হওয়ার সম্ভাবনা ৪১ শতাংশ পর্যন্ত কম ছিল।

যদিও ডাক্তাররা বলেছেন যে স্থূলতা এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর বিপাকীয় অবস্থা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে জটিল করে তুলতে পারে। পূর্ববর্তী গবেষণায় বলা হয়েছিল যে এই প্যান্ডেমিকে স্থায়ী অসুস্থতার অন্যতম কারণ হল অপুষ্টি। খাওয়াদাওয়া ঠিক মতো না করার জন্যই আমাদের মধ্যে অনেকের ক্ষেত্রেই করোনার সংক্রমণ জটিল আকার ধারণ করেছে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের প্রশিক্ষক জর্ডি মারিনো বলেন ডায়েটের সঙ্গে ভাইরাসঘটিত সংক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়ার মধ্যে খুব গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

দলটি ২০২০ সালের মার্চ ও ডিসেম্বরের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ৫,৮২,৫৭১ জনের থেকে বিভিন্ন ডেটা সংগ্রহ করেছিল। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী তাদের ডায়েটের কথা বিস্তারিত জানায়। গবেষকরা ফল ও সবজি খাওয়ার উপর জোর দিয়ে সেই সব মানুষের ‘খাবারের মান’ স্কোর করেন।

পরবর্তী সময়কালে তাদের মধ্যে ৩১,৮৩১ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল। গবেষকরা দুর্বল পুষ্টি, এবং কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান সংযোগ লক্ষ্য করেছেন।

যারা দরিদ্র এলাকায় বসবাস করে এবং যারা ফাস্ট ফুডের উপর বেশি নির্ভর করে তাদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি ছিল।

এই ডেটাগুলো থেকে গবেষকদের ধারণা হয় যে, এই দুটি পরিস্থিতির কোনও একটা সরানো গেলে, পৃথিবীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ এড়ানো যেত। গবেষকরা স্বাস্থ্যকর, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারগুলি খাবার পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করার জন্য তাঁরা সরকারকে বিশেষ তলবও করেছেন।

মারিনো বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানগুলি সরকার এবং যারা প্রোটোকল তৈরি করে তাদের জন্য তোলা থাকল। একমাত্র ওঁরাই মানুষকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বতোভাবে সাহায্য করতে পারবে।’

আরও পড়ুন: Benefits of Vitamin D: ভিটামিন ডি-এর অভাবে ত্বকের মারাত্মক রকমের ক্ষতি হতে পারে, নিরাময়ের উপায় জেনে নিন…

আরও পড়ুন: Benefits of Almond: দিনে কমপক্ষে ২২ থেকে ২৩ টা আমন্ড খাওয়া কি জরুরি? কী বললেন ডায়েটেশিয়ান, জেনে নিন…

Next Article