Benefits of Almond: দিনে কমপক্ষে ২২ থেকে ২৩ টা আমন্ড খাওয়া কি জরুরি? কী বললেন ডায়েটেশিয়ান, জেনে নিন…
আমন্ড খাওয়ার আগে জলে ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে। ভেজা আমন্ড মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট শোষণে সাহায্য করে। তবে, আমন্ডের খোসা ছাড়ানো উচিত নয়।
আমন্ড তাদের স্বাস্থ্যকর পুষ্টির জন্য সুপরিচিত। আমন্ডের মধ্যে প্রোটিন, ফাইবার, ফ্যাট, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ফসফরাস এবং আরও অনেক কিছু ঠাসা থাকে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমন্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু ওজন কমাতে নয়, আমন্ড হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।
আমন্ড বিভিন্ন আকারে খাওয়া যেতে পারে। একে আপনি কাঁচাও খেতে পারেন আবার জলে ভিজিয়ে ডেজার্ট বা স্মুদিতেও ব্যবহার করতে পারেন। আমন্ড একাধারে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর।
ম্যাক্স হেলথকেয়ারের ডায়েটেশিয়ান রিতিকা সমাদ্দার ১ দিনে কতটা পরিমাণ আমন্ড খাওয়া উচিত তা জানিয়েছেন। ১ আউন্স বা ২৮ থেকে ২৩০ গ্রাম আমন্ড প্রতিদিন খাওয়া উচিত। সহজ হিসেবে বললে, আমাদের প্রতিদিন ২২ থেকে ২৩ টা আমন্ড খাওয়া উচিত।
রিতিকা আরও বলেছেন যে আমন্ড খাওয়া আমাদের পক্ষে খুব জরুরি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আমন্ড স্ন্যাকিং সেন্ট্রাল অ্যাডিপোসিটি (পেটের চর্বি) এবং কোমরের আকার কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক মুঠো আমন্ড খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও বিশাল ভূমিকা রাখে।
আমন্ড নিয়ে কিছু কিছু ভুল ধারণা আমাদের মধ্যে প্রচলিত আছে। সেগুলি ভাঙ্গা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ…
ভুল ধারণা: আমন্ড কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ
সঠিক ধারণা: আমন্ড কোলেস্টেরল মুক্ত। আমন্ডে কোলেস্টেরলের পরিমাণ শূন্য। উদ্ভিজ্জ পণ্যগুলিতে কোলেস্টেরল থাকে না। আমন্ড উল্টে আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। যা হৃদরোগীদের জন্য কার্যকর।
ভুল ধারণা: আমন্ড তাপ বাড়িয়ে তোলে
সঠিক ধারণা: সাধারণ ধারণা অনুযায়ী মনে করা হয় যে আমন্ড অনেকটা তাপ উৎপন্ন করে। তারা এটাও মনে করে যে একজনের প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ টির বেশি আমন্ড খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু, আমরা দৈনিক যে অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সগুলো খেয়ে থাকি, আমন্ড তাদের চেয়ে অনেক কম তাপ তৈরি করে। এমনকি দিনে ২২ থেকে ২৩ টা আমন্ড খাওয়া হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারি।
ভুল ধারণা: খাওয়ার আগে আমন্ডের খোসা ছাড়ানো উচিত
সঠিক ধারণা: আমন্ড খাওয়ার আগে জলে ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে। ভেজা আমন্ড মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট শোষণে সাহায্য করে। তবে, আমন্ডের খোসা ছাড়ানো উচিত নয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যখন আমন্ডের খোসা ছাড়ানো হয় তখন ফাইবারও বেশ কিছুটা বাদ চলে যায়। তাই, কখনওই আমন্ডের খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: গভীর ঘুমের জন্য ম্যাট্রেস কতটা দায়ী জানলে অবাক হবেন!
আরও পড়ুন: ট্রেডমিল ব্যবহার করলে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকর সুবিধা পাওয়া যায়…
আরও পড়ুন: জানেন কি এক-আধ দিনের মদ্যপানেও হতে পারে প্যাংক্রিয়াটাইটিসের মত গুরুতর রোগ!