Childhood Cancer: শিশুদের মধ্যে হওয়া ক্যান্সারের এই লক্ষণগুলি এড়িয়ে যাবেন না যেন!

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মতে, শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের উপসর্গগুলি প্রথমেই লক্ষ্য করা যায় না, যার ফলে সনাক্তকরণেও দেরি হয়। তবে শিশুদের মধ্যে কিছু কিছু লক্ষণ রয়েছে যা একেবারেই অবজ্ঞা করা উচিত নয়।

Childhood Cancer: শিশুদের মধ্যে হওয়া ক্যান্সারের এই লক্ষণগুলি এড়িয়ে যাবেন না যেন!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2021 | 12:51 PM

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মতে, প্রতি বছর প্রায় ৪ লক্ষ শিশু ১৯ বছর বয়সের মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে ৮০% শিশুই চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে সঠিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ও আর্থিক উন্নতি না থাকায় বেশির ভাগ শিশুই ক্যান্সারে মারা যায়।

প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ক্যান্সার কিছুটা আলাদা। শিশুদের মধ্যে সাধারণত লিউকেমিয়া বা রক্তের ক্যান্সার বেশি হয়। ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত। এছাড়াও মস্তিষ্কের ক্যান্সার এবং স্পাইনাল কর্ডে‌ টিউমার, লিম্ফোমাস, নিউরোব্লাস্টোমা, নেফ্রোব্লাস্টোমা, মেডুলোব্লাস্টোমা, এবং রেটিনোব্লাস্টোমার মত ক্যান্সার শিশুদের মধ্যে হয়ে থাকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মতে, ১৯ বছরের মধ্যে যে কোনও বয়সের শিশুদের মধ্যে ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকলেও, এর পিছনে কয়েকটা কারণ দায়ী থাকতে পারে। মূলত বংশগত বা জিনেটিক্স কারণেই শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি দেখা যায়। তাছাড়া এপস্টেইন-বার নামে ভাইরাসের কারণেও শিশুদের মধ্যে ক্যান্সার হয়। আবার অনেক সময় হেপাটাইটিস বি, হিউম্যান হার্পিস এবং এইচআইভি ভাইরাসও শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মতে, শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের উপসর্গগুলি প্রথমেই লক্ষ্য করা যায় না, যার ফলে সনাক্তকরণেও দেরি হয়। তবে শিশুদের মধ্যে কিছু কিছু লক্ষণ রয়েছে যা একেবারেই অবজ্ঞা করা উচিত নয়। আর যেহেতু শিশুদের মধ্যে বোঝার এবং বিশ্লেষণের ক্ষমতা নেই তাই অনেক সময় উপসর্গগুলি সনাক্ত করতে দেরি হয়।

অনেক দিন ধরে শরীরে ব্যথা। এমনও হতে পারে আপনার সন্তান গায়ে হাত দিতে দিচ্ছে না ব্যথার কারণে। শরীরের কোনও অংশ যদি হঠাৎ ফুলে যায় এবং দীর্ঘ দিন ধরেও যদি ভাল না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ভেতরে কোন গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া বা শরীরের যে কোনও অংশ ফুলে যাওয়া, পেটের ভেতরে চাকার মত অনুভূত হওয়া, শরীরের জয়েন্ট বা কোনও সংযোগ স্থলে ফুলে গেলে তা ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

লিউকেমিয়া অর্থাৎ রক্তের ক্যান্সার হলে জ্বরের লক্ষণ দেখা দেয়। এই ক্যান্সার হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে জ্বর হলে দীর্ঘদিন সেই জ্বর ভাল হয় না। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এমনকি এই ক্যান্সারে জন্ডিসের লক্ষণও দেখা যায়, যেমন চোখ ও গায়ের রঙ হলুদ হয়ে যাওয়া। সঠিক পরীক্ষার মাধ্যমেই ক্যান্সার সনাক্ত করা যায় শিশুদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া এবং অত্যধিক পরিমাণে ঘাম হওয়াও ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। তাই এই বিষয়ে সচেতন থাকুন এবং যে কোনও ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: নবজাতকের মধ্যে জন্ডিসের সমস্যা কি সাধারণ? দেখে নিন এর উপসর্গগুলি কী কী