Vertigo: উঠলে দাঁড়ালেই মাথা ঘুরে যাচ্ছে? এর পিছনে অত্যধিক স্ট্রেস দায়ী নয় তো!
Mental Stress: কোনও কারণ ছাড়াই মাথা ঝিমঝিম করছে? উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে যাচ্ছে? রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও কেন এমন ঘটছে?

কোনও কারণ ছাড়াই মাথা ঝিমঝিম করছে? উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে যাচ্ছে? ভাবছেন হয়তো কোনও কারণে প্রেশার লো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা করলে দেখা যাচ্ছে রক্তচাপ একদম স্বাভাবিক স্তরেই রয়েছে। তাহলে এমনটা কেন হচ্ছে? মাথা ঘোরা কিংবা মাথা ঝিমঝিম করাকে ভার্টিগো বলা হয়। যদিও এই ভার্টিগো কোনও মেডিকেল অবস্থা নয়। বরং বলা চলে, কোনও রোগের উপসর্গ হতে পারে। কিন্তু রোগ ছাড়া যদি আপনি ক্রমাগত মাথা ঘোরা বা মাথা ঝিমঝিম করার সম্মুখীন হন, তাহলে সচেতন হওয়া জরুরি। অনেক সময় মানসিক চাপের কারণেও আপনি এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
যদিও সাধারণ মাথা ঘোরা এবং ভার্টিগোর মধ্যে সূক্ষ্ম ফারাক রয়েছে। ভার্টিগো হল এমন এক ধরণের মাথা ঘোরা যেখানে মনে হয় যে স্থির থাকা সত্ত্বেও চারপাশের পরিবেশ যেন ঘুরছে। অন্যদিকে, মাথা ঘুরলে শরীরের ভারসাম্যহীনতা বোধ হয়। এই অবস্থার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলো হল, হালকা মাথাব্যথা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, কানে শুনতে সমস্যা, নড়াচড়া করার সময় দেখতে অসুবিধা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। ভার্টিগোর সমস্যা মানসিক চাপের কারণেও দেখা দিতে পারে।
স্ট্রেস এবং ভার্টিগোর সরাসরি সংযোগ নেই তবে স্ট্রেস ভার্টিগোর একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে। স্ট্রেস ভেস্টিবুলার সিস্টেমের কর্মহীনতায় একটি ভূমিকা পালন করতে পারে এবং ভেস্টিবুলার সিস্টেমের যে কোনও ক্ষতি মাথা ঘোরার দিকে পরিচালিত করতে পারে। অর্থাৎ সরাসরি না হলেও স্ট্রেস ভার্টিগোকে ট্রিগার করে।
আসলে যখন আমরা যখন মানসিক চাপের মধ্যে থাকি, আমাদের শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন উচ্চ পরিমাণে নিঃসরণ হতে থাকে। এই হরমোন ভেস্টিবুলার সিস্টেম থেকে মস্তিষ্কে নিউরাল তথ্য প্রেরণের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই হরমোনগুলি তখন মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিশনের উপর বাধা সৃষ্টি করতে পারে যার কারণে মাথা ঘোরা অনুভব হয়। অন্যদিকে, মানসিক চাপের কারণে হিস্টামিন এবং নিউরোস্টেরয়েডগুলিও নিঃসরণ হয়। এগুলোও একই ভাবে নিউরোট্রান্সমিশনকে প্রভাবিত করে যা মাথা ঘোরা পিছনে দায়ী।
যদি স্ট্রেস আপনার জন্য ভার্টিগোর কারণ হয়ে থাকে, তাহলে এই ক্ষেত্রে মানসিক চাপ কমানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। মানসিক চাপ কমানোর জন্য আপনি গান শুনতে পারেন, ধ্যান করুন। যোগব্যায়াম করলেও মানসিক চাপ কমতে পারে। ক্যাফেইন যুক্ত খাবার ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজন মানসিক অবস্থা সম্পর্কে পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করতে পারেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা মনোবিদের সঙ্গে কথা বললেও আপনি সাহায্য পেতে পারেন।
