AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bizarre: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচতে পায়ুপথে ঢুকেছিল জ্যান্ত মাছ, অস্ত্রোপচারের পর কীভাবে বের হল সেই প্রাণী?

Chinese Man inserts eel into rectum: চিনের এক ব্যক্তি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পায়ুদ্বারে ইল মাছ ঢুকিয়ে ছিলেন। তারপরের ঘটনা চমকে দেওয়ার মতো।

Bizarre: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচতে পায়ুপথে ঢুকেছিল জ্যান্ত মাছ, অস্ত্রোপচারের পর কীভাবে বের হল সেই প্রাণী?
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2022 | 12:57 PM
Share

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কষ্টকর। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নানা ধরনের ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নেন। কিন্তু মাছের সাহায্য হয়তো কেউই নেন না। মাছ খাওয়ার কথা আমরা বলছি না। এখানে পায়ুদ্বারে মাছ প্রবেশ করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘটনা বলা হচ্ছে। বিশ্বাস হচ্ছে না? এমন ঘটনা অবশ্যই বিরল। কিন্তু এমন নয় যে এ বিশ্বে ঘটেনি। চিনের এক ব্যক্তি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পায়ুদ্বারে ইল মাছ ঢুকিয়ে ছিলেন। তারপরের ঘটনা চমকে দেওয়ার মতো।

পায়ুদ্বারে জ্যান্ত ইল মাছ ঢুকিয়ে ফেলেন পূর্ব চিনের জিংহুয়া প্রদেশের এক ব্যক্তি। উদ্দেশ্য ছিল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া। তাই এমন অদ্ভুত ‘ঘরোয়া টোটকা’র সাহায্য নেন তিনি। যথারীতি পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। ওই জ্যান্ত ইল মাছ মলদ্বারের মাধ্যমে অগ্ন্যাশয়ে পৌঁছে যায়। অসহ্য যন্ত্রণার সঙ্গে ওই ব্যক্তি দ্বারস্থ হয় চিকিৎসকদের কাছে। অস্ত্রপচারের মাধ্যমে ওই ইল মাছ ব্যক্তির শরীর থেকে বের করা হয়। দাঁড়ান, ক্লাইম্যাক্স এখনও বাকি। অস্ত্রপচারের পর দেখা যায় ওই ইল মাছ জ্যান্ত অবস্থায় রয়েছে।

শরীরের মধ্যে ইল মাছ প্রবেশ করিয়েও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বছর ৫০-এর ওই ব্যক্তি মুক্তি পান না। কিন্তু যে জ্যান্ত ইল মাছ তিনি নিজের শরীরের ভিতর প্রবেশ করিয়েছিলেন সেটা ‘জ্যান্ত’ অবস্থাতেই শরীর থেকে বেরিয়েছে। প্রায় ২০ সেন্টিমিটার লম্বা ছিল ওই ইল মাছ।

হঠাৎ করে এমন ঘরোয়া টোটকা কেন বেছে নিলেন তার কোনও উত্তর ওই ব্যক্তির কাছে ছিল না। তবে, এটা তিনি স্বীকার করেছেন যে, ইল মাছ পায়ুছিদ্রের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করিয়েও তিনি স্বস্তি পাননি। বরং, তাঁর কষ্ট আরও বেড়ে যায়। সমাধানের পথ না পেয়ে তিনি দ্বারস্থ হন চিকিৎসকদের কাছে। যদিও প্রথম দিকে তিনি তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কথা বলতে লজ্জা বোধ করেন।

চিকিৎসকরাও তাঁর অবস্থা দেখে চমকে যান। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আর একটু দেরি হলেই ওই ব্যক্তিকে বাঁচানো কঠিন হত। এমনিতেই শরীরের ভিতর ইল মাছ প্রবেশ করিয়ে তিনি তাঁর প্রাণ সংশয় ডেকে এনেছেন। জ্যান্ত ইল মাছের কারণে শরীরে বেশ ব্যাকটেরিয়াও প্রবেশ করে। এতে হিমোলাইসিসের ঝুঁকিও তৈরি হয়। কিন্তু শেষ অবধি ওই ব্যক্তির প্রাণ রক্ষা হয়।