Deepika Padukone : আচমকা হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে যেতে হয়েছিল দীপিকাকে, হার্ট অ্যার্টাকের ইঙ্গিত?

Symptoms Of Heart Arrhythmia: অ্যারিথমিয়ার নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ নেই। তবে দ্রুত হৃদস্পন্দন, ঘাড় বা বুকে হঠাৎ ঝাঁকুনি বা ব্যথা, ধীর হৃদস্পন্দন, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন এইসবই হল সাধারণ লক্ষণ

Deepika Padukone : আচমকা হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে যেতে হয়েছিল দীপিকাকে, হার্ট অ্যার্টাকের ইঙ্গিত?
হঠাৎ করেই যা সমস্যা হয়েছিল দীপিকার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2022 | 5:21 AM

মঙ্গলবার শ্যুটিং চলাকালীন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন দীপিকা পাড়ুকোন। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সূত্রের খবর শ্বাসনিতে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর, বেড়ে গিয়েছিল হৃদস্পন্দও। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী ছবি ‘প্রজেক্ট কে’- এর শ্যুটিং চলছে হায়দ্রাবাদে। এই শ্যুটিং চলাকালীন তাঁর হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ায় এবং অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে কামিনেনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর তিনি ফিরে আসেন সেটে, তখন স্থিতিশীল ছিল হৃদস্পন্দন। নাগ অশ্বিন পরিচালিত এই ছবিতে অমিতাভ বচ্চন ছাড়াও রয়েছেন দক্ষিণের সুপারস্টার প্রভাস।

বাড়ছে হৃদরোগের প্রকোপ। কমবয়সিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদরোগে। কিছুদিন আগেই মঞ্চে অনুষ্ঠান সেরে ফেরার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় গায়ক কেকের। হঠাৎ করে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া হার্টের সমস্যারই ইঙ্গিত। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় হার্ট অ্যারিথমিয়া। এই হার্ট অ্যারিথমিথা (Heart Arrhythmia) কিন্তু হতে পারে হার্ট অ্যার্টাকের লক্ষণও। এই সমস্যা হলে হঠাৎ করেই হৃৎস্পন্দনের গতি বেড়ে যায়। এবং তা অস্বাভাবিক ও অনিয়মিত হয়।

কি এই হার্ট অ্যারিথমিয়া

মায়ো ক্লিনিকের মতে হার্ট অ্যারিথমিয়া হল হৃৎপিনডের স্বাভাবিক ব্যাধি। যেখানে হৃদস্পন্দন ব্যাহত হয়। হৃৎপিন্ডের এই হার ও ছন্দের নেপথ্যে রয়েছে হৃৎপিন্ডের বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়া। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটি একটি নির্ধারিত পথ অতিক্রম করে। হৃৎপেশিগুলোকে সচল রাখতে হৃৎপিন্ড তখন অবিরাম রক্ত পাম্প করতেই থাকে। এখান থেকেই অ্যারিথমিয়ার সমস্যা হয়। হার্ট অ্যারিথমিয়ার এই সব সাধারণ লক্ষণ ক্ষতিকারক নয়। তবে মস্তিষ্ক, হৃৎপিন্ড এবং ফুসফুসে রক্তপ্রবাহে বাধা পেলে এবং সেখান থেকে সঠিক চিকিৎসা না করালে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। অ্যারিথমিয়াকে ডিসরিথমিয়াও বলা যেতে পারে।

অ্যারিথমিয়ার লক্ষণ

অ্যারিথমিয়ার নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ নেই। তবে দ্রুত হৃদস্পন্দন, ঘাড় বা বুকে হঠাৎ ঝাঁকুনি বা ব্যথা, ধীর হৃদস্পন্দন, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন এইসবই হল অ্যারিথমিয়ার সাধারণ লক্ষণ। সঙ্গে যদি বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হয়, অতিরিক্ত ক্লান্তি , অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, মারাত্মক ঘাম হওয়া এই সব উপসর্গ থাকে তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কারণ তা হতে পারে জটিল হৃদরোগের পূর্বাভাস।

অ্যারিথমিয়ার কারণ

এই অ্যারিথমিয়া হওয়ার নেপথ্যে একাধিক কারণ থাকতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ, ডিপ্রেশন, কোনও রকম অ্যালার্জির সমস্যা, হঠাৎ ঠান্ডা লেগে যাওয়া, থাইরয়েড, একটানা ঘুম না হওয়া, অ্যানিমিয়া, ব্যায়াম, মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া, ধূমপান বা মদ্যপান, নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ খাওয়া, হৃদরোগের যদি কোনও সমস্যা আগে থেকেই থাকে তাহলেও হতে পারে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন।

চিকিৎসা

অ্যারিথমিয়ার সমস্যা হয়েছে কিনা বোঝার জন্য চিকিৎসকেরা ইসিজি, হার্ট মনিটর, স্ট্রেস টেস্ট, ইলেক্ট্রোফিজিওলজিক্যাল টেস্ট, রক্ত পরীক্ষা ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে রোজকার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা, ঠান্ডা জল দিয়ে বারবার মুখ ধোওয়া, নার্ভকে সক্রিয় রাখা, অ্যান্টিঅ্যারিথমিক ওষুধ খাওয়া ইত্যাদি। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য প্রয়োজন হয় অস্ত্রোপচারেরও।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।