Diabetics: সেদ্ধ নয়, প্রতিদিন ৩০ গ্রাম করে কাঁচা চাল খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস! জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

Blood Sugar Levels: বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রাউন রাইসের সাদা চালের থেকে বেশি ফাইবার থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্রাউন রাইস খাওয়া অনেক উপকারী। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রণে।

Diabetics: সেদ্ধ নয়, প্রতিদিন ৩০ গ্রাম করে কাঁচা চাল খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস! জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2022 | 12:57 PM

ডায়াবেটিসে (Diabetics) ভুগছেন যারা, তাদের অনেকেরই মনে খাবারের তালিকায় (Daily Diet)কী কী রাখবেন, কত পরিমাণ খাবেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। খাবার বলতেই প্রথমে ভাতের (Rice) কথা আসে। রোজকার খাদ্যতালিকায় ভাতের পরিমাণ কতটা হওয়া উচিত, তা ঠিক করে উঠতে পারেন না বহু রোগী। খাবারের মধ্যে থেকে রোজ কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা (Carbohydrate-Rich Foods) কতটা গ্রহণ করতে পারবেন তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশের মূল প্রশন হল, ডায়াবিটিস আক্রান্তরা কি চাল ও গমের মত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত? উল্লেখ্য, কার্বোহাইড্রেটের কারণে গ্লুকোজ ভেঙে যায় ও তা রক্তের মধ্যে প্রবাহিত হয়। চিনি ও স্টার্চ রক্তে শকর্রার মাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে। তাই চাল ও গমের মত খাদ্য খাওয়ার আগে দুবার ভাবতে হয় সুগাররোগীদের।

একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডায়াবেটিস -বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন মোট কিলো ক্যালোরির ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেটের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে একজন সুগারের রোগীর কতটা ভাত খাওয়া উচিত তা বিশেষজ্ঞদের থেকেই খেয়ে নেওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদেরও জানা উচিত কতটা ভাত খাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীরা যদি দিনে কমপক্ষে ৩০ গ্রাম কাঁচা চাল খেতে পারেন, তাহলে ওষুধের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ৩০ গ্রাম চাল নিতান্তই কম নয়, এই পরিমাণের সঙ্গে তুলনা করলে গমের তৈরি ৩০টি চাপাটির সমান কার্বোহাইড্রেট থাকে। চাল থেকে গ্লুকোজ শোষণের হার বেশি হবে।

ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৩০ গ্রাম কাঁচা চালের জন্য একটি অংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে দিনে কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার রোগীর উচ্চতা, ওজন, ব্যায়ামের নিয়ম ওওষুধের উপর নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীরা নির্দিষ্টি সময়ের ব্যবধানে ছোট অংশে কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালোরি গ্রহণ করা যেতে পারে। সাধারণত, চিকিত্‍সকরা ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের সম্পূর্ণভাবে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা এড়ানোরই নির্দেশ দিয়ে থাকেন। ডায়াবেটিস রোগীদের আবশ্যই কার্বোহাইড্রেটের গুণমান ও পরিমাণের দিকেও নজর দেওয়া উচিত।

চিনি, পরিশোধিত ময়দা, আলু, কলা, জিঞ্জার ব্রেড, মধু, জুজ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করা সুগার রোগীদের জন্য বিষের সমান। সাধারণ কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে ডায়াবেটিস রোগীদের জটিল শর্করা যেমন গোটা শস্য, ডাল, লেবু, ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রাউন রাইসের সাদা চালের থেকে বেশি ফাইবার থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্রাউন রাইস খাওয়া অনেক উপকারী। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়া শাকসবজি, ডাল ও মটরশুটি-সহ ভাত খাওয়া মানবশরীরে পুষ্টি মাত্রাও বাড়িয়ে তোলে। সেদ্ধ চালের খিচুরি, পোলাও, সঙ্গে শাক-সবিজ যোগ করলে সেই খাবারটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলে মানা হয়। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের কথা মাথায় রেখে খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)