AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Uric Acid Symptoms In Urine: প্রস্রাবের এই ৩ লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন যে রক্তে বেড়েছে ইউরিক অ্যাসিড

How to get rid of Uric Acid: এছা়ড়াও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হলে, ঘন ঘন মূত্রত্যাগ করলে, ফ্যাকাশে লাল-কমলা প্রস্রাবের রং হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যান

Uric Acid Symptoms In Urine:  প্রস্রাবের এই ৩ লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন যে রক্তে বেড়েছে ইউরিক অ্যাসিড
ইউরিনের রং দেখে সতর্ক হন
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2023 | 5:48 PM
Share

ডায়াবেটিস আর কোলেস্টেরলের মতো ইউরিক অ্যাসিডও খুব গুরুতর একটি সমস্যা। বর্তমানে প্রচুর মানুষ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন। ইউরিক অ্যাসিড হল একটি রাসায়নিক যৌগ যা আমাদের শরীরে পিউরিন ভেঙে তৈরি হয়। খাদ্য আর পানীয়ের মাধ্যমে শরীরে পিউরিন প্রবেশ করে। সামুদ্রিক মাছ, মাশরুম, মটন এবং মেটের মধ্যে এই পিউরিন বেশি পরিমাণে থাকে। এছাড়াও যে কোনও ডালের মধ্যেও এই পিউরিন থাকে যথেষ্ট বেশি পরিমাণে। এই পিউরিন বেশি পরিমাণে খেলে কিডনিতে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রস্রাবের মাধ্যমেই ইউরিক অ্যাসিড শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে। আবার কিছুক্ষেত্রে মলের মাধ্যমেও ইউরিন বাইরে বেরিয়ে আসে।

এবার এই ইউরিক অ্যাসিড প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হলে তখন তা শরীরে জমতে শুরু। সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্রাব বা মলের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না। এখান থেকে তা জয়েন্ট এবং কিডনিতে স্টোনের আকারে জমা হতে শুরু করে। যেখান থেকে গাউট এবং অন্যান্য সমস্যা বাড়ে। বাড়ে কিডনি স্টোনের সম্ভাবনাও। প্রস্রাবের মাধ্যে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়ে আসলে তা  গাউট এবং বাতের সমস্যা হয়। পাশাপাশি পায়ে ফোলাভাব, আঙুলে ব্যথাও থাকে।

গাউটের লক্ষণ

জয়েন্টে ফোলাভাব জয়েন্টের চারপাশে লালভাব জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা জায়কগায় উষ্ণভাব প্রস্রাবে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া

ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের মতে, প্রস্রাবে উচ্চ পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড থাকলে তা কিডনি স্টোনের লক্ষণ হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই কিডনিতে তা ছোট ছোট স্ফটিকের আকারে জমা হতে শুরু করে। এর পর তা থেকে বড় পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

এবার এই ইউরিক অ্যাসিড প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হলে তখন তা শরীরে জমতে শুরু। সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্রাব বা মলের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না। এখান থেকে তা জয়েন্ট এবং কিডনিতে স্টোনের আকারে জমা হতে শুরু করে। যেখান থেকে গাউট এবং অন্যান্য সমস্যা বাড়ে। বাড়ে কিডনি স্টোনের সম্ভাবনাও।

কিডনি স্টোনের লক্ষণ

নীচের পিঠে তীব্র ব্যথা বমি বমি ভাব কিছুই খেতে না পারা জ্বর ঠান্ডা লাগা বা ঠান্ডার অনুভূতি

এছা়ড়াও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হলে, ঘন ঘন মূত্রত্যাগ করলে, ফ্যাকাশে লাল-কমলা প্রস্রাবের রং হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যান। সেই সঙ্গে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা আগে নিয়ন্ত্রণে আনুন। ডাক্তার প্রয়োজনীয় যে সব টেস্ট করতে দেবেন তা অবশ্যই করিয়ে নেবেন। কোনও ভাবেই ফেলে রাখবেন না। এছাড়াও আরও যা কিছু মেনে চলবেন-

অ্যালকোহল, রেড মিট, সামুদ্রিক খাবার, দুধের তৈরি খাবার, মিষ্টি এবং মিষ্টি পানীয় একেবারে এড়িয়ে চলুন।

ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে এরকম খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। ফাইবার বেশি খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমবে।

ফুরোসেমাইড এবং হাইড্রোক্লোরোথিয়াজাইডের মত ওষুধ যা খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে তা এড়িয়ে চলুন।

অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে হবে। ওজন বাড়লেই সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসে।

অ্যালকোহল, বিয়ার, মিষ্টি পানীয় একেবারে বাদ দিতে হবে রোজকারের তালিকা থেকে।