Ginger Side Effects: অতিরিক্ত পরিমাণে আদা খেলে আপনার স্বাস্থ্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে, কীভাবে তা জেনে নিন…
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের গর্ভাবস্থার প্রাথমিক দিনগুলিতে আদা খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভাল। আদা খাওয়ার ফলে মর্নিং সিকনেস এবং দুর্বলতা কম হয়। কিন্তু গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে মহিলাদের আদা খাওয়ার বিষয়টা এড়িয়ে চলাই উচিত।
আদা আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহারের অন্যতম স্বাস্থ্যকর বস্তুগুলোর মধ্যে একটা। সাধারনত বাড়িতে আদার ব্যবহার হয় প্রতিদিন। শীতকালে বহু মানুষ প্রায় সবকিছুতেই আদা ব্যবহার করেন। আদার চা থেকে শুরু করে নানান ধরনের তরকারিতেও আদা দেওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে আদার অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
অতিরিক্ত আদা ব্যবহার করলে গলা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছারাও মুখ এবং গলার মিউকাসল আস্তরন ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বেশি মাত্রায় আদা খেলে পেটের সমস্যার সম্ভাবনাও থাকে। পেটে ব্যথা, গ্যাস এবং পেট ফেঁপে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত আদার ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে। তাই, আদার ব্যবহার যত তাড়াতাড়ি কমানো যায়, ততই আমাদের শারীরিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব হবে। যদিও, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ মেনে আদা খেলে তার নিজস্ব স্বাস্থ্যকর উপকারিতাও আছে। তাই, পরিমাণ জেনে আদার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে কিছু মানুষের একদমই আদা খাওয়া উচিৎ নয়। যারা ওজন বাড়িয়ে তুলতে চান তাদের আদা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। আদা খেলে খাওয়ার ইচ্ছা নষ্ট হয় এর ফলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কিছু সাহায্য পাওয়া যায়। সুতরাং ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে অবশ্যই আদা খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এছাড়াও হিমোফিলিয়া রোগীদের আদা না খাওয়াই উচিত। আদা খেলে রক্ত পাতলা হয়। রক্ত পাতলা হয়ে গেলে তা হিমোফিলিয়া রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের গর্ভাবস্থার প্রাথমিক দিনগুলিতে আদা খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভাল। আদা খাওয়ার ফলে মর্নিং সিকনেস এবং দুর্বলতা কম হয়। কিন্তু গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে মহিলাদের আদা খাওয়ার বিষয়টা এড়িয়ে চলাই উচিত। কারণ, আদার মধ্যে উপস্থিত উপাদান খাওয়ার ইচ্ছে কমিয়ে দেয়। কিন্তু, গর্ভাবস্থায় একজন মাকে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার খেতে হয়।
যদি কারও নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার অভ্যেস থাকে তাহলে তাঁর আদা খাওয়া উচিত নয়। ওষুধে উপস্থিত ড্রাগ যেমন বিটা-ব্লকার, অ্যান্টিকগুল্যান্টস এবং ইন্সুলিন যদি আদার সঙ্গে মেশে তাহলে শরীরের বিশেষ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে একেই ওষুধ তো কাজ করবেই না, উপরন্তু শরীরে আরও নানা ধরনের ক্ষতি হতে দেখা যাবে। তাই, নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি আদার ব্যবহার যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখা বাঞ্ছনীয়।