AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gandhi Jayanti: শরীর ও মন স্বাস্থ্যকর রাখতে প্রতিদিন কী কী খেতেন গান্ধীজি? তাঁর প্রিয় খাদ্য কী ছিল?

Mahatmas Diet: গান্ধীজির সবচেয়ে প্রিয় ছিল মিশ্র আহারের ঝুড়ি। তাতে থাকত মুসুর ডাল, শাকসবজি, সঙ্গে দুগ্ধজাত দ্রব্যের হরেক রকম উপকরণ।

Gandhi Jayanti: শরীর ও মন স্বাস্থ্যকর রাখতে প্রতিদিন কী কী খেতেন গান্ধীজি? তাঁর প্রিয় খাদ্য কী ছিল?
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2022 | 5:04 PM
Share

অহিংসার পথ অনুসরণ করে সংকল্প গ্রহণ করার ব্রত নিয়েছিলেন যে বিখ্যাত ব্যক্তি, আজ তাঁর জন্মবার্ষিকী। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছরের মত ২ অক্টোবরসারা দেশ জুড়ে গান্ধী জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে। একাধারে আইনজীবী, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও দেশের জনক নামে তিনি পরিচিত। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছিলেন এই মহান ব্যক্তি। গুজরাতে জন্মগ্রহণ করেন ও পরে যুবক বয়সে আইন অধ্যায়নের জন্য লন্ডনে যান।

লন্ডনে থাকাকালীন বন্ধুরা তাঁকে মাংস খাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুস্বাদু মাংস খেতে অস্বীকার করেছিলেন গান্ধীজি। পরিবর্তে তিনি তাঁর খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, মুসুরডাল অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ‘দ্য সায়েন্স অফ বিয়িং অ্যান্ড আর্ট অফ লিভিং’ বইয়ে গান্ধীজি তাঁর দৈনন্দিন খাদ্যাভাসের কথা জানিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, ডায়েট প্ল্যানে সাধারণত ব্রহ্মচারী খাদ্যই অন্তর্ভুক্ত থাকত। প্রতিদিনের খাবার হিসেবে তাই খেতেন।

মহাত্মা গান্ধী তিনটি ভিন্ন খাদ্য পরিকল্পনার ধারণায় বিশ্বাসী। তিনঝুড়ি (Three Baskets) হিসেবে যা খ্যাত।প্রথম বাস্কেটে নিরামিষ খাবার, দ্বিতীয় বাস্কেটে ছিল মাংস জাতীয় খাবার ও তৃতীয়টিতে মিশ্র আহার। এই সমস্ত ডায়েট বাস্কেটই গান্ধীজিকে সুস্থ, ফিট ও অনলস রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। শুধু লন্জনে থাকার সময়েই নয়, এই ডায়েট অনুসরণ করেছিলেন ভারতে ফিরে আসার পরও। গান্ধীজি তার অনুগতদের শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার খেতে বাধ্য করেছেন তাই নয়, জোর করেই নিরামিষ খাবার খাওয়াতেন।

প্রথম ঝুড়িতে থাকতে নিরামিষ খাবার। সেখানে থাকত মুসুর ডাল ও গোটা খাদ্যশস্য-সহ ফল ও সবজি। দ্বিতীয় ঝুড়িতে থাকত বেশিরভাগ মাংস, হাঁস-মুরগির মাংস, ডিম ও মাছ। তবে গান্ধীজির সবচেয়ে প্রিয় ছিল মিশ্র আহারের ঝুড়ি। তাতে থাকত মুসুর ডাল, শাকসবজি, সঙ্গে দুগ্ধজাত দ্রব্যের হরেক রকম উপকরণ। স্ট্যানলি ওলপার্টের গান্ধী’স ওয়ে বই অনুসারে, গান্ধীজি প্রচুর পরিমাণে বেসন খেতেন।

বাপুজি প্রতিদিন একটিবার খাবার খেতেন। খাবারের তালিকায় থাকত রুটি, পাস্তা ও চিনি দিয়ে তৈরি খাবার একেবারেই থাকত না। ভাত, ডাল, চাপাটি, দই ও প্যাঁড়া ছিল তাঁর প্রিয় খাবার। তিনি বিশ্বাস করতেন, মানবদেহের পুনর্গনের ক্ষমতা রয়েছে। সঠিক খাবার খেলে তবেই স্বাস্থ্যকর থাকা যায়। তিনি এও বিশ্বাস করতেন, শরীর ও মন অবিচ্ছেদ্য অংশ। গান্ধীর ডায়েট প্ল্যানে শুধু শরীর নয় মানসিক শক্তি প্রদানেরও অংশ। চর্বি ঝরিয়ে পেশি ও শক্তি অর্জনে সহায়তা করে এমন খাদ্যই ছিল তাঁর ডায়েট প্ল্যানে।