AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Poppy Seeds: পোস্ত খাচ্ছেন নিয়মিত! খেলে কী কী উপকার হয় জানেন কি?

রান্নায় স্বাদ বাড়াতে জুড়ি নেই পোস্তর। তবে স্বাদের বাইরেও পোস্ত কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত উপকারী। একাধিক খনিজ ও ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ পোস্ত নানাভাবে আমাদের হার্ট ও সার্বিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

Poppy Seeds: পোস্ত খাচ্ছেন নিয়মিত! খেলে কী কী উপকার হয় জানেন কি?
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2022 | 6:50 AM
Share

কাঁচা পোস্ত (Poppy Seeds), পোস্তর বড়া, আলু-পোস্ত, ঝিঙে-পোস্ত, রুই পোস্ত! আহা পোস্ত মানেই জিভের তৃপ্তি। ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতে সামান্য ঘি আর পোস্তর একটি পদ মানেই বাঙালির স্বর্গসুখ (Bengali Style Recipes)! বহু বাঙালিই মাছ-মাংসের বদলে পোস্ত খেতে বেশি পছন্দ করেন। গত কয়েক দশক ধরে রান্নার স্বাদবৃদ্ধিতে পোস্তর ব্যবহার হয়ে আসছে। এহেন পোস্ত কিন্তু অত্যন্ত গুণবান (Health Benefits)! এমনকী পোস্ত থেকে যে তেল বের করা হয় তাও স্বাস্থ্যের পক্ষে জরুরি। বাঙালি মাত্রই পোস্তদানা চেনে! ক্ষুদ্র, গোলাকার এই দানার রং খানিকটা বাদামি, খানিকটা বা নীলাভ কালো, হতে পারে ধূসর কিংবা হলুদও। বাজারে দাম যথেষ্ট বেশি হলেও বাঙালি কিন্তু পোস্ত খাওয়া ত্যাগ করেনি। বরং তাতে লাভই হয়েছে। কারণ পোস্তয় রয়েছে একাধিক খনিজ ও ভিটামিন। তাই মাঝেমধ্যে পোস্ত সেবন স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। এবার দেখা যাক মহার্ঘ হওয়া সত্ত্বেও কেন পোস্তকে এত তোল্লাই দিচ্ছেন ডায়েটিশিয়ানরা!

১) পোস্তদানায় রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, তামা, ক্যালশিয়াম, লোহা, ম্যাগনেশিয়াম এবং অন্যান্য জরুরি খনিজ! সবকটি খনিজই শরীরের পক্ষে কোনও না কোনওভাবে জরুরি। এর ফলে পোস্ত হয়ে উঠেছে স্বাস্থ্যকর। এখানেই শেষ নয়। জানলে অবাক হবেন, কোল্ড প্রেসিং পদ্ধতিতে পোস্ত থেকে প্রস্তুত তেলে আছে মোনো এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা হার্ট ভালো রাখে। অর্থাৎ পোস্তয় আছে জরুরি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাট। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হার্ট ডিজিজ দূরে রাখে। মোট কথা নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খেতে পারলে হার্টের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে পোস্ত।

২) বেদনাবোধ কমাতে পারে পোস্ত! হ্যাঁ, কারণ পোস্ত দানায় আছে মরফিন, কোডিন এবং ওপিয়াম অ্যালকলয়েড যৌগ। এর ফলে ব্যথার উপসর্গ কমানোর সঙ্গে ভালো ঘুম আসার ক্ষেত্রেও সাহায্য করে পোস্ত। অতএব অনিদ্রার সমস্যাতেও পোস্ত সেবন যথেষ্ট উপকারী। তবে পোস্ত সবসময় ধুয়ে খাবেন। কারণ পোস্তয় এমন কিছু উপাদান থাকে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে।

৩) পোস্তবীজ বা দানা খাদ্য হজমে ইন্ধন জোগায়। এছানা পোস্ত দানায় রয়েছে যথেষ্ট মাত্রায় ফাইবার। এই ফাইবারই খাদ্য পরিপাক হতে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, পোস্ত দানায় থাকা ফাইবার পরিপাকতন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এর ফলেও পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

৪) পোস্তদানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরের তৈরি হওয়া অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া ফ্রি র্যা ডিকেলস তৈরি হলেও তা ধ্বংস করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আমাদের মনে রাখতে হবে, ফ্রি র্যা ডিকেলস-এর কারণেই ক্যান্সারের মতো রোগ দেহে বাসা বাঁধে। এছাড়া বিভিন্ন কোষ ধ্বংস করে ফ্রি র্যা ডিকেলস। ত্বক দ্রুত বুড়িয়েও যায়। এই সমস্ত সমস্যা রোধ করতে পারে নিয়মিত পোস্ত সেবন।

অতএব মাঝেমধ্যে পোস্ত খাওয়া যেতে পারে। তবে পরিমিত মাত্রায় খাওয়া দরকার। অতিরিক্ত কোনও কিছুই স্বাস্থ্যের পক্ষে হিতকর নয়।