ওজন কমানোর চেষ্টায় আমরা কত কি না করে থাকি। এদের মধ্যে শরীরচর্চাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও, এমন কিছু খাবার আমরা খেয়ে থাকি যেগুলোর প্রতিস্থাপন খুব সহজেই করা যায়। আর সেই প্রতিস্থাপনগুলো বাজারের প্রোডাক্টের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর তো হয়েই থাকে, এমনকি সস্তাও হয় অনেকটাই। এমনই কিছু উপাদানের কথা আমরা প্রতিদিনের খেয়ালে কোথাও গিয়ে ভুলে যাই। এরকমই এক উপাদান নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।
আপনার হাতের কাছেই এমন সব সমাধান আছে যার সাহায্যে চটজলদি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব। না তার জন্য কোনও সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন আপনার নেই। বরং প্রয়োজন কয়েক টুকরো আমলকির। আমলকির মধ্যে যে অসাধারণ হজম ক্ষমতা আছে সেই বিষয়ে সন্দেহের কোনও জায়গা নেই। আর সেখান থেকেই আসছে আমলকির আরও কিছু অসাধারণ গুণের কথা…
ডিটক্স করে:
নিয়মিত আমলকি খেলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়ে। ফলে রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকারক টক্সিক উপাদান ধ্বংস করে দেয়। তাই জন্য মেটাবলিজম রেটেরও উন্নতি ঘটে। ফলে শরীর যেমন রোগমুক্ত থাকে, একইভাবে ওজন কমতেও সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যাও সমাধান হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন, আপনি যখন ওজন কমানোর জন্য আমলকি খাবেন, আমলকি আপনার শরীরের আরও অনেকগুলো সমস্যা সমাধান করবে।
ওজন কমায়:
আমলকি যে শুধুই ওজন কমায় তা নয়, একই সঙ্গে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে ছোট বড় কোনও অসুখ সহজে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এদিকে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। আমলকিতে ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস, পলিফেনল থাকে। বিভিন্ন মিনারেলও আছে যা আপনার হজম ক্ষমতা বাড়ায়। একইসঙ্গে দেহের মেদ ঝরে চট জলদি। তাই ওজন কমানোর জন্য় চোখ বন্ধ করে আমলকির উপর ভরসা করতে পারেন আপনি।
অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি:
এই ফলে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। যার জন্য শরীরে প্রদাহের মাত্রা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। তাই ওজন বাড়ার আশঙ্কাও থাকে না। একইসঙ্গে ফ্যাটি লিভার ও কোলেস্টেরলের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে। এদিকে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আমলকি খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি:
এক গ্লাস গরম জল নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন চার চা চামচ আমলকির রস। যদি তা না থাকে তবে আমলকির পাউডার মিশিয়ে নিতে পারেন। খালি পেটে খাওয়া শুরু করুন। এক মাস টানা খাওয়ার পরেই ফলাফল আপনার চোখে পড়বে। প্রতিদিন আমলকির রস খাওয়ার পর ব্যায়াম করলে আরও ভাল রকম উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই বেশি খেলে বেশি ফল পাব এই ভেবে বেশি খাবেন না। তাহলে শরীরে তার খারাপ প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: Ring Worm: দাদের সমস্যায় নাজেহাল হয়ে উঠেছেন? এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো মেনে চললে দাদের নিরাময় সম্ভব…