Fatty Liver Diet: ফ্যাটি লিভারে ডাল-চিকেন কি খাওয়া যায়? জানুন যকৃতের চর্বি গলাতে কেমন হবে ডায়েট

Fatty Liver Disease: অত্যধিক পরিমাণে মদ্যপানের কারণে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার দেখা দিতে পারে। এছাড়া জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের অনিয়মের কারণে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অ্যালকোহলিক হোক বা নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার, ডায়েটে বিশেষ পরিবর্তন আনতেই হয়।

Fatty Liver Diet: ফ্যাটি লিভারে ডাল-চিকেন কি খাওয়া যায়? জানুন যকৃতের চর্বি গলাতে কেমন হবে ডায়েট
Follow Us:
| Updated on: Mar 28, 2024 | 8:15 AM

কয়েকদিন ধরে খাবারে খাওয়ার ইচ্ছে নেই। খাবার খেলেই বমি পাচ্ছে। বমি হলে তার সঙ্গে অসহ্য পেটের যন্ত্রণা। রক্তপরীক্ষা করার পর জানা গিয়েছে, আপনি ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। অর্থাৎ, আপনার লিভারে চর্বি জমেছে। এই অবস্থা কিন্তু একদিনে তৈরি হয়নি। দিনের পর দিন খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, শরীরচর্চা অভাব এবং অনিয়মিত জীবনযাপনের জেরে লিভারের সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফ্যাটি লিভার ধরা পড়ার পরও যদি সতর্ক না হন, বিপদ আরও বাড়তে পারে। ফ্যাটি লিভারের অবস্থা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গেলে লিভার সিরোসিসও হতে পারে।

অত্যধিক পরিমাণে মদ্যপানের কারণে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার দেখা দিতে পারে। এছাড়া জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের অনিয়মের কারণে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অ্যালকোহলিক হোক বা নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার, ডায়েটে বিশেষ পরিবর্তন আনতেই হয়।

ফ্যাটি লিভারে ডায়েট থেকে কী-কী বাদ দেবেন?

১) মদ্যপান একেবারেই করা যাবে না। ফ্যাটি লিভার ধরা পড়ার পরও যদি এই অভ্যাস জারি রাখেন, সমস্যা আরও বাড়বে। লিভার ফেলিয়রও হতে পারে।

২) ফ্যাটি লিভারের সবচেয়ে বড় শত্রু চিনি। চিনি রয়েছে, এমন খাবার একদম খাবেন না। কেক, কুকিজ থেকে শুরু করে চায়ে চিনি মেশানোও চলবে না।

৩) চিনির পাশাপাশি নোনতা জাতীয় খাবারেও রাশ টানতে হবে। পাশাপাশি এড়িয়ে চলতে হবে ভাজাভুজি। পকোড়া, চপ, কাটলেট থেকে দূরে থাকুন।

৪) চর্বিযুক্ত খাবারে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়বে। তাই রেড মিট খাওয়া চলবে না। তার সঙ্গে পিৎজা, বার্গারও একদম নয়। এসব খাবারে প্রক্রিয়াজাত মাংস ব্যবহার হয়, যা সমান বিপজ্জনক।

ফ্যাটি লিভারে ডায়েট কেমন হবে?

১) তাজা শাকসবজি ও ফলের কোনও বিকল্প নেই। মরশুমি শাকসবজি ও ফল যত বেশি খাবেন, সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন। আর অবশ্যই ডায়েটে রাখুন আমন্ড, আখরোট, পেস্তার মতো বাদাম।

২) যে কোনও ধরনের ডাল ফ্যাটি লিভারে খাওয়া যায়। ডালে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন রয়েছে। এছাড়া চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, সূর্যমুখীর বীজ ও কুমড়োর দানা খেতে পারেন।

৩) ফ্যাটি লিভারে মাছ ও মুরগির মাংস দুটোই খাওয়া যায়। মুরগির মাংসে লিন প্রোটিন রয়েছে। অর্থাৎ, চর্বির পরিমাণ কম। আর মাছ হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস। এটি ফ্যাটি লিভারের পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক।

৪) আদা, রসুন থেকে শুরু করে হলুদ, লেবু, পুদিনা পাতার মতো সমস্ত ভেষজ উপাদান ডায়েটে রাখুন। এসব মশলা ও ভেষজ উপাদান ফ্যাট গলাতে উপযোগী।