Kalmi Saag: বর্ষা এলেই পেটের গণ্ডগোল শুরু? গরম ভাতের সঙ্গে পাতে এই গ্রাম্য শাক রাখলেই কেল্লাফতে
Water Spinach Health Benefits: রাস্তাঘাটে চলার সময়, মাঠের ধারে, পুকুর পাড়ে, এমনকী ড্রেনের ধারে গজিয়ে উঠতে দেখা যায় কলমি শাক। এই কলমি শাক যদি পাতে পড়ে তাহলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে না। তবে, অবশ্যই আপনাকে এই শাক রান্না করার আগে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
বর্ষায় শাক খাওয়া এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। বর্ষায় নোংরা জলের মধ্যে বেড়ে ওঠা শাকপাতা খেলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু বর্ষার বাজারে যে শাক আপনার দেহের জন্য সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর তা কলমি শাক। রাস্তাঘাটে চলার সময়, মাঠের ধারে, পুকুর পাড়ে, এমনকী ড্রেনের ধারে গজিয়ে উঠতে দেখা যায় কলমি শাক। এই কলমি শাক যদি পাতে পড়ে তাহলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে না। তবে, অবশ্যই আপনাকে এই শাক রান্না করার আগে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
গ্রামবাংলার এই শাকের মধ্যে রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা। কলমি শাকের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই কলমি শাক খেলে আপনার দেহে পুষ্টি ঘাতটি হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কলমি শাকের খেলে কী-কী উপকারিতা মেলে।
মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেয়। হিমগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। কিন্তু কলমি শাক খেলে আপনার দেহে রক্তাল্পতার ঝুঁকি তৈরি হবে না। কলমি শাকের মধ্যে আয়রন রয়েছে। এটি রক্তাল্পতার ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে।
বর্ষা এলেই দেহে নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা দেয়। রোগের হাত থেকে বাঁচতে আপনার ইমিউনিটি শক্তিশালী হওয়া জরুরি। আর এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কলমি শাক। কলমি শাক হল ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। ভিটামিন সি দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই বর্ষায় রোগের ঝুঁকি এড়াতে কলমি শাককে ডায়েটে রাখতেই হবে।
কলমি শাকের মধ্যে ভিটামিন এ রয়েছে। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এবং ত্বককে ভাল রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে ভিটামিন এ। বর্ষায় হওয়া স্কিন র্যাশের সমস্যা এড়ানো যায়। অন্যদিকে, চোখের যাবতীয় সমস্যাকে দূরে রাখে ভিটামিন এ। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে বাচ্চাদের ডায়েটে এই শাক রাখা দরকার।
কলমি শাকের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৩ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ চাপ কমায় এবং ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এর জেরে দেহে ক্যানসার কোষ গঠিত হয় না। অর্থাৎ, কলমি শাক খেলে আপনি ক্যানসারের ঝুঁকিও এড়াতে পারবেন।
হার্টের সমস্যা দূরে রাখতেও কাজে আসতে পারে কলমি শাক। বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন সি থাকায় কলমি শাক খেলে আপনার হৃদযন্ত্র ভাল থাকবে। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো যায়। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে পাতে কলমি শাক রাখতেই হবে।
লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কলমি শাক। কলমি শাক লিভারের ডিটক্সিফিকেশনের কাজ করে। এই শাক লিভারে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। যাঁরা জন্ডিস, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা ডায়েটে এই শাক রাখুন।