AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Refined Oil: এক মাসের জন্য সাদা তেলে তৈরি খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিন, দেখুন কী হয় এরপর

Health Tips: ভাজাভুজি বানাতে, প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরিতে রিফাইন্ড তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। এতে উচ্চ পরিমাণে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা ওজন বাড়িয়ে দেয়, প্রদাহ তৈরি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। একমাস এই রিফাইন্ড বা পরিশোধিত তেল খাওয়া বন্ধ করে দেন, তাহলে কী হবে জানেন?

Refined Oil: এক মাসের জন্য সাদা তেলে তৈরি খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিন, দেখুন কী হয় এরপর
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2023 | 10:42 AM
Share

আলু ভাজা হোক বা মাছের ঝোল, যে কোনও রান্নায় কমবেশি তেল দরকার। তেল ছাড়া রান্নায় স্বাদ হয় না। বিভিন্ন ধরনের পদ ভিন্ন উপায়ে এবং বিভিন্ন পরিমাণে তেল ব্যবহার করা হয়। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকে অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন। তবে, মাংস কষতে গেলে সর্ষের তেলই প্রয়োজন। আর লুচি, পরোটা ভাজতে হলে সাদা তেল, ডালদাই কাজে লাগে। কিন্তু রিফাইন্ড বা পরিশোধিত তেল মোটেই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। যত বেশি তেল খাবেন, বাড়বে ওবেসিটি, হৃদরোগ এবং প্রদাহের সমস্যা। কিন্তু আপনি যদি একমাস এই রিফাইন্ড বা পরিশোধিত তেল খাওয়া বন্ধ করে দেন, তাহলে কী হবে জানেন?

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি একমাসের জন্য রিফাইন্ড বা পরিশোধিত তেল খাওয়া বন্ধ করে দেন, তাহলে দেহে এর একাধিক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ভাজাভুজি বানাতে, প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরিতে রিফাইন্ড তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। এতে উচ্চ পরিমাণে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা ওজন বাড়িয়ে দেয়, প্রদাহ তৈরি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সুতরাং, আপনি যদি রিফাইন্ড বা পরিশোধিত তেল খাওয়া বন্ধ করে দেন, তাহলে অবশ্যই আপনার দেহে শারীরিক প্রদাহ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। এমনকী ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে- যে সব পরিশোধিত তেলে উচ্চ পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে সেগুলো হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। তাই এই ধরনের তেলে তৈরি খাবার-দাবার খাওয়া বন্ধ করে দিলে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে- রিফাইন্ড বা পরিশোধিত তেলের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। সুতরাং, রিফাইন্ড তেলের ব্যবহার কমালে আপনার ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রাও কমবে। এটি আপনাকে ওজন কমাতে বা সঠিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

সুগার লেভেল বশে থাকবে- সুগার শুধু যে চিনি ও কার্ব‌োহাইড্রেটেড থেকে দূরে থাকতে হয়, তা নয়। রিফাইন্ড তেলও আপনার দেহে ইনসুলিন সংবেদনশীলতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সাদা তেলে তৈরি রান্না খাওয়া ছাড়ুন।

ত্বক ভাল থাকে- ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে চাইলে খাবারে রিফাইন্ড বা পরিশোধিত তেলের ব্যবহার কমাতে হবে। আপনি যত বেশি ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন, বাড়বে ত্বকে ব্রণ, তৈলাক্ত ভাব, ফুসকুড়ির সমস্যা। তাই নিখুঁত ত্বক পেতে এসব খাবার থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।

হজম স্বাস্থ্য উন্নত হবে- রিফাইন্ড বা পরিশোধিত তেল উচ্চ মাত্রায় প্রক্রিয়া করে তৈরি করা হয়। তাই এই ধরনের তেলে তৈরি খাবার খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বদহজমের সমস্যা এড়াতে রিফাইন্ড তেলে তৈরি খাবার এড়িয়ে চলুন।

রিফাইন্ড বা পরিশোধিত তেলের বদলে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-২ সমৃদ্ধ তেল বেছে নিন। অ্যাভোকাডো অয়েল, বাদাম তেল, অলিভ অয়েল, তিসির তেল ইত্যাদি বেছে নিন। এগুলোতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। এগুলো স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে সাহায্য করে।