High Cholesterol Sign: কোলেস্টেরল কি বেড়েছে, আপনার ত্বকের এই লক্ষণ দেখেই বুঝতে পারবেন…
Cholesterol Sign: অনেকের চোখের উপরে আর নীচে হলুদ রঙের চর্বি জমা হয়। খানিকটা মোমের মত। চোখের চামড়াতেও একটা হলদেটে আস্তরণ পড়ে
রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড আর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে সেখান থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যা আসে। রোজকার জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস, স্ট্রেস এসবই কিন্তু কোলেস্টেরল বৃদ্ধির জন্য দায়ী। সেই সঙ্গে অনেকেই মনে করেন স্ট্রেস কাটাতে সেরা দাওয়াই হল ধূমপান। আর তাই মাত্রাহীন ভাবেই চলতে থাকে ধূমপান-মদ্যপান। এতেই কিন্তু শরীরের বেশি ক্ষতি হয়। রোজ যদি রুটিন ছাড়া ভাবে তেল-মশলাদার খাবার, মদ্যপান চলতে থাকে তাহলে রক্তনালীতে কোলেস্টেরল জমতে শুরু করে। ফলে স্ট্রোক বা হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। হাই কোলেস্টেরলের সুস্পষ্ট কোনও লক্ষণ থাকে না। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে অবশ্যই কোলেস্টেরলের মাত্রা চেক করে রাখুন। তবে দিল্লির কনসালটেন্ট ডার্মোটোলজিস্ট রিঙ্কি কাপুরের কথায়, কোলেস্টেরল বাড়তে শুরু করলে প্রকৃতি আগে থেকেই তার জানান দেয়। ত্বকে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। কিন্তু খালি চোখে তা মোটেই ধরা পড়ে না। তবে একটু খেয়াল করলেই কিন্তু দেখতে পাবেন ত্বকের এই সূক্ষ্ম পরিবর্তন।
অনেকের চোখের উপরে আর নীচে হলুদ রঙের চর্বি জমা হয়। খানিকটা মোমের মত। চোখের চামড়াতেও একটা হলদেটে আস্তরণ পড়ে। এছাড়াও পায়ের ত্বকে আর পায়ের পিছনের দিকেও এই হলুদ রঙের মোমর আস্তরণ পড়ে। এই আস্তরণ দেখে সহজেই আপনি বুঝতে পারবেন যে শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ছে।
কোলেস্টেরল বাড়লে সেখান থেরে সোরিয়াসিসের ঝুঁকি বাড়ে। যা হাইপারলিপিডেমিয়া নামে পরিচিত। নিয়মিত ভাবে ডায়েট করে আর ওষুধ খেয়ে তবেই কিন্তু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। কোলেস্টেরল একবার বাড়লে নিয়ম মানলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, চিরতরের জন্য নির্মূল হয়ে যায় না। যে কারণে জীবনযাত্রায় নিয়ন্ত্রণ আনা বাধ্যতামূলক।
কোলেস্টেরল বাড়ার অন্যতম লক্ষণ হল ত্বকের রং পরিবর্তন। কোলেস্টেরল ত্বকের নীচে জমতে শুরু করলে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। রক্তপ্রবাহ কমতে শুরু করলে ত্বক যথাযথ পুষ্টি পায় না। যে কারণে ত্বকের রং পরিবর্তন হয়ে যায়। ওছাড়াও বেশিক্ষণ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে পা নীলচে বেগুনি হয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত বেশি হিল পরেন যে সব মহিলারা তাঁদের পায়ে হলুদ রঙের মোমের স্তর পড়ে যায়।
আর তাই চিকিৎসকরা বলছেন, প্রত্যেকটি মানুষের উচিত নিয়ম করে বছরে অন্তত দুবার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করানো। কেলেস্টেরল বাড়তে থাকলে চুপিসাড়ে শরীপের একাধিক ক্ষতি হয়। হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন না করে প্রথম থেকেই নজর রাখুন জীবনযাত্রায়। তেল-মশলাদার খাবার কম খান, ফাস্টফুডের পরিমাণ কমিয়ে আনুন। ধূমপান আর মদ্যপান একেবারে বন্ধ করতে হবে। নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিজেকেই নিতে হবে।